জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: CAA-NRC কার্যকর হলে মুসলিমরা বিপদে পড়লে খুন হবেন, ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। এমন হুমকি চিঠি আগেই পেয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আর এবার তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ। আর তা দেখে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, খুনের চক্রান্ত চলছে। সোমবার সকালে এই ঘটনার জেরে বাগদার হেলেঞ্চায় পথ অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মীরা। পরে বনগাঁ বিডিও অফিসের সামনে শান্তনুর গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) প্রচারে বেরিয়ে সোমবার সকালে বাগদার (Bagda) পুরাতন বাজারের কাছে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। পাশাপাশি তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, বিজেপি প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমফানের সময় তাঁকে কেন দেখা যায়নি? পাঁচ বছরে তিনি কেন আসেননি? তা শুনেই নাকি শান্তনুর সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে| তাঁদের আরও অভিযোগ, ''আমরা বিক্ষোভ দেখাতে আসিনি। আমরা শান্তনু ঠাকুরকে ভোট দিয়েছিলাম আমরা। পাঁচ বছর ধরে তাঁকে দেখিনি। আমফান-করোনা মহামারী গিয়েছে, দেখিনি। কখনও মতুয়া কার্ড দেবে বলে টাকা তুলে নিয়েছে। আমরা শুধু দেখা করতে এসেছিলাম, জানতে এসেছিলাম। শান্তনু ঠাকুরই বিজেপির (BJP) গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে আমাদের মহিলাদের উপরে আক্রমণ করেন। তারা আমাদের গায়ে হাত দেয় প্রশাসনের সামনেই।''
[আরও পড়ুন: আগামী তিন বছরে ৫ লক্ষ নিয়োগ! ভারতের কর্মসংস্থানে বড়সড় পরিকল্পনা অ্যাপেলের]
এদিকে শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) অভিযোগ, মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার করার সময় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বন্দুক, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করার পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি ফিরে আসার সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর মারা হয়, আহত হয় কয়েকজন মহিলা। তাঁকে খুনের চেষ্টাও করা হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শান্তনুর কর্মীরা। রাস্তায় বসে অবরোধ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সদ্য হারিয়েছেন মেয়েকে, শোকার্ত কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে CBI তদন্তের দাবি ‘সমব্যথী’ নাড্ডার]
এনিয়ে বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিক্রিয়া, শান্তনু ঠাকুর একজন উচ্ছৃঙ্খল, লম্পট চরিত্রের ব্যক্তি, যিনি মহিলাদেরও ছাড়েন না। মমতাবালা ঠাকুরের মতো একজন শ্রদ্ধেয় মহিলাকেও ছাড়েনি। বিজেপির কালচার এটাই। নির্বাচনে উপযুক্ত শিক্ষা পাবে।''