অর্ণব দাস, বারাকপুর: বঙ্গে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের 'চড়াম চড়াম', 'গুড় বাতাসা' দাওয়াই। গত ২ বছর ধরে অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও তাঁর 'ফর্মুলা'য় ভোট হচ্ছে বীরভূমে, এমনই জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে শুধু বীরভূমেই নয়, চব্বিশের লোকসভা ভোটে গোটা বঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য 'গুড় বাতাসা' দাওয়াই দিচ্ছেন অন্যান্য জেলার নেতারা। এবার অনুব্রতর সুর শোনা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বিলকান্দা ২ নং পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতির গলায়। শুক্রবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লেনিননগর এলাকার এক পথসভায় বাহিনীর জওয়ানদের গুড়-বাতাসা, মাছ, মাংস খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। তাঁর সেই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতাও।
আগামী পয়লা জুন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন (2024 Lok Sabha Election)। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের (Sougata Roy)সমর্থনে ঘোলা বিলকান্দা দুনম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লেনিনগর এলাকায় দলের তরফে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভামঞ্চ থেকে বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সজল দাস ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কথা বলছিলেন। আর তা বলতে গিয়েই দলীয় কর্মীদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, ''নির্বাচনের দিন এলাকায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুড়, বাতাসা, মাছ, মাংস - যা রান্না করবেন, সেসব খাইয়ে আপ্যায়ণ করবেন।''
[আরও পড়ুন: ‘বাবা রে! রাজভবনে ডাকলে আর যাব না’, শ্লীলতাহানি বিতর্কের মাঝে বিস্ফোরক মমতা]
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির এই নির্দেশকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতৃত্ব পালটা মনে করাল শীতলকুচির কথা। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতা জয় সাহা বলেন, ''এরকম কত সজল দাস এল আর চলে গেল! গুড়-বাতাসার মালিক তো এখন তিহাড় জেলে বসে আছে। শীতলকুচির ঘটনা মনে হয় উনি ভুলে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী তার ভূমিকা পালন করতে জানে। বিজেপি কর্মীরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। সঠিক সময়ে সঠিক জবাব আমাদের কর্মীরাও দেবে।'' উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে তোলপাড় কম হয়নি। সেই ঘটনার সঙ্গে গুড়-বাতাসার তুলনা! বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: