দেবব্রত দাস, খাতড়া: ভোট আবহে রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী বাঁকুড়া। দলীয় কর্মসূচির মাঝেই অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের কার্যালয়ে ঢুকে ওই দলের এক নেতার সঙ্গে দেখা করলেন তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশংকর রায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে যখন যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পর দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত, তখন এই সৌজন্যের রাজনীতি যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই অনেকে মনে করছেন।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর সমর্থনে শুক্রবার বিবড়দা বাজার ও গ্রামে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশংকর রায়। বিবড়দা বাজার লাগোয়া সিপিএম কার্যালয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সেখান থেকে সটান ঢুকে পড়েন সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে। সেই সময় সিপিএমের তালডাংরা এরিয়া কমিটির সম্পাদক হারাধন ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা সেখানে বসেছিলেন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশংকর রায়কে দেখে উঠে দাঁড়ান। তাঁকে স্বাগত জানান। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। সামান্য আলাপচারিতাও হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
পরে এবিষয়ে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তারাশংকর রায়কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, “বিবড়দা বাজারে নির্বাচনী প্রচারের মাঝেই সিপিএম কার্যালয়ে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখে ওখানে ঢুকেছিলাম। কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠাতে ওঁদেরও আমাদের দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।” তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী আরও বেশি ভোটে জিতবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, নিজেদের স্বার্থেই তৃণমূল সিপিএমের দ্বারস্থ হয়েছে বলেই দাবি বিজেপির।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের দাবি, “মুমুর্ষু সিপিএমকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল বাঁচার চেষ্টা করছে। সিপিএম যেভাবে তৃণমূল বিরোধিতা করে পুরোটাই নাটক। তৃণমূলই ওই দলকে অক্সিজেন সরবরাহ করছে।” এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিপিএম তালডাংরা এরিয়া কমিটির সম্পাদক হারাধন ঘোষ বলেন, “ওদের প্রচার কর্মসূচিতে সেভাবে কোনও লোকজন জোটেনি। আমরা দলীয় কার্যালয়ে কাজ করছিলাম। ওরা হঠাৎই ঢুকে পড়ে। ওদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু যারা আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের ফাঁসায়। তাঁদের মুখে আর যাই হোক সৌজন্যের রাজনীতির কথা মানায় না।”