সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন একুশে জুলাই পরবর্তী তৃণমূলের সব কর্মসূচি ঘোষণা করতেন দলনেত্রী নিজেই। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রীতিতে খানিকটা ব্যতিক্রম হল। এবার আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যা আবার পরে খানিকটা সংশোধন করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমে অভিষেকের কর্মসূচি ঘোষণা, এবং পরে মমতার সেটা শুধরে দেওয়া, লোকসভার আগে দুটোই ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ।
একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। প্রথমটি, দিল্লি চলোর ডাক। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানী অভিযান করবে তৃণমূল (TMC)। আর দ্বিতীয়টি হল বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: ক্রীড়াজগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি! এমবাপেকে ধরে রাখতে অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পিএসজির]
কিন্তু অভিষেকের ঘোষণা করা সেই কর্মসূচিতে খানিকটা আপত্তিই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসুচিটি খানিকটা শুধরে দিয়ে তিনি বলে দিলেন, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’
[আরও পড়ুন: জটিল রোগাক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর পর লিভার দান, নবজন্ম আরেকজনের]
অর্থাৎ অভিষেক যেখানে বুথস্তর থেকে সার্বিকভাবে ঘেরাও কর্মসূচি চাইছেন, সেখানে মমতা চাইছেন ব্লক স্তরে প্রতীকী ঘেরাও কর্মসূচি। যা দেখে বিরোধীরা প্রশ্ন বলছেন, তৃণমূলের অন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের যে দ্বিমত চলছে, সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও তৃণমূল বলছে, এতে দ্বিমতের কিছু নেই। অভিষেক একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, নেত্রী সেটা শুধরে দিয়েছেন। এটা দলের অন্দরের মেলবন্ধন এবং সমন্বয়েরই প্রকাশ।