সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রতি বছর ধারাবাহিক ভাবে উপস্থিত থেকেছেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাষণের আগে নিজের সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে জনসাধারণের মন কেড়েছেন প্রতিবার। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে ফের হাজির হবেন নচিকেতা। তবে গতবার দেখা যায়নি কবীর সুমনকে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এবার মঞ্চে ফিরবেন তিনি। মমতা নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংগীতশিল্পীকে।
গতবছর বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ধর্মতলার মোড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই ছিল নজর। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পরের এবং চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগের একুশে জুলাই আরও তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈনিক মহলের একাংশের। আর সেই মঞ্চেই দেখা মিলবে বাংলার দুই বিশিষ্ট গায়কের।
[আরও পড়ুন: ‘পদ আজ আছে, কাঁচি দিয়ে কাটতে দু’মিনিটও সময় লাগবে না’, বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের হুঁশিয়ারি মদনের]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তিনি ভালবাসেন, সহযোদ্ধা হিসেবে শ্রদ্ধা করেন, তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ করেন। নিজেকে বলেন ‘মমতাপন্থী’। একদা দলের সাংসদ নিজের এই রাজনৈতিক পরিচয়ই প্রতিষ্ঠা করেছেন জনসমক্ষে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন যা পদক্ষেপই নেন, তাঁর সমর্থন থাকে। তবে গত বছর সেই ‘মমতাপন্থী’ কবীর সুমনের (Kabir Suman) গলাতেই শোনা গিয়েছিল ভিন্ন সুর। মালবাজারে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অকালমৃতর মাঝেই কলকাতার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল আয়োজনের তীব্র নিন্দা করেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান বাতিলের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেসব এখন অতীত। একুশের মঞ্চে উপস্থিত থাকতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
২১ জুলাই সব পথ এসে মিশবে ধর্মতলা। তার আগে মঙ্গলবার দিনভর উত্তর থেকে দক্ষিণে পরপর প্রস্তুতি সভা হয়েছে। বুধবার থেকে শহরে পা রাখছেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা দলের সিংহভাগ কর্মীরা।