বিশেষ সংবাদদাতা: অতীত বাংলা ভাষা বিতর্ক, অতীত পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরোধিতাও। ফের স্বমহিমায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর (Subhaprasanna)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূলের শহিদ দিবস একুশে জুলাইয়ের (21 July TMC Shahid Diwas) মঞ্চে হাজির তিনি। প্রতিবারের মতো এবছরও একুশের মঞ্চে বিশিষ্টজনেদের সমাবেশ। আর সেই সারিতে ফের শুভাপ্রসন্ন।
কখনও ‘দাওয়াই’, ‘পানি’র মতো উর্দু শব্দকে বাংলায় আপন করে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। এক জনসভায় তিনি এসব শব্দ ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। শিল্পীর সাফ বক্তব্য ছিল, বাংলায় এর চেয়ে সুন্দর শব্দ আছে। সেসব গ্রহণ করে এসব শব্দ বাদ দেওয়া হোক। ভাষাবিদদের মতে, বাংলা ভাষার বহমানতা বজায় রাখতে অন্য যে কোনও ভাষার বহুল প্রচলিত শব্দ মিশে যাওয়াটাই কাম্য। মানুষের কথ্য ভাষাকে এভাবে দূরে সরিয়ে রাখার ঐতিহ্য এখানে নেই। শুভাপ্রসন্ন ভিন্ন মত পোষণ করায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ”আমরা সব ভাষাকেই শ্রদ্ধা করি।”
[আরও পড়ুন: ক্রীড়াজগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি! এমবাপেকে ধরে রাখতে অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পিএসজির]
এই ভাষা বিতর্কে ইতি পড়তে না পড়তেই আবার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা পর্ব নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কে জড়ান শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেছিলেন, “সারা দেশে এরকম ঘটনা কোথাও ঘটে না। এই সংস্কৃতি বদলাতে হবে।” আর এই বদলের ডাক দিতে আরও একবার পথে নামতে তিনি তৈরি বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, “আমরা আবার মিছিল করতে পারি, আগে যেমন করেছিলাম। সংস্কৃতি বদলের মিছিল।” কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ‘সুর’ বদল করে ফেলেন। বলেন, ”রুদালি নই যে কিছু হলেই রাস্তায় নামতে হবে। এখনও রাস্তায় নামার সময় আসেনি।” ভোট হিংসা কড়া হাতে মুখ্যমন্ত্রী দমন করেছেন বলেও মত তাঁর। বলেন, “মমতা কড়া হাতে দমন করেছেন, এর চেয়ে বড় কী হতে পারে?”
[আরও পড়ুন: জটিল রোগাক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর পর লিভার দান, নবজন্ম আরেকজনের]
তবে শাসকদলের সঙ্গে এহেন সাময়িক বিরোধিতা ভুলে আজ ফের একুশের মঞ্চে হাসিমুখে হাজির হলেন শুভাপ্রসন্ন। মঞ্চে না উঠলেও তাঁকে দেখা গেল সামনের সারিতেই।