সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বিল্ডিংয়ের মালিককে। আগুন লাগার সময় অভিযুক্ত মালিক মণীশ লাকরা ও তার পরিবারও ওই বিল্ডিংয়েই ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিল মণীশ। অবশেষে রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানী দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চারতলা বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের (Delhi Fire) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ১২ জন। তবে এখনও ২৯ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দ্বিতীয় তলায় মিলেছে বেশ কিছু পোড়া দেহাংশ। দিশেহারা হয়ে পরিজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু এখনও হদিশ পাননি। জানা গিয়েছে, যে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২১ জনই মহিলা। করোনা অতিমারীতে (Corona Pandemic) কাজ হারিয়েছিলেন অনেকেই। তাই সংসার চালাতে অতিমারীর আতঙ্ক কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন বাড়ির মহিলারা। সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা বেতন পেলেও আত্মনির্ভর হতে পারায় খুশিই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এই কাজই ডেকে নিয়ে এল মৃত্যু। এঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে কংগ্রেস, মেনে নিয়েও লড়াইয়ের বার্তা রাহুলের]
পুলিশের তরফে আরও খবর, যে ২৯ জন এখনও নিখোঁজ, তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের খুঁজতে চলছে তল্লাশি। এদিকে, এই ঘটনায় মণীশ লাকরাকে রবিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মণীশকে খুঁজে বের করে পুলিশ। জানা যায়, ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার সময় চারতলায় ছিল মণীশ ও তার পরিবার। আগুন লাগতেই ক্রেনের সাহায্যে বিল্ডিংয়ের বাইরে বেরিয়ে আসে তারা। উল্লেখ্য, ওই বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এমনকী দমকলের তরফে ফিট সার্টিফিকেটও ছিল না। তা সত্ত্বেও কীভাবে এতগুলি অফিস সেখানে ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলে মোটিভেশনাল স্পিচের যে অনুষ্ঠান চলছিল, তার বক্তা কৈলাশ জয়নী ও তাঁর ছেলে অমন জয়নীও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান। ময়নাতদন্ত করে প্রত্যেকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।