নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দুর্গাপুজোর থিম ও প্রতিমার অভিনবত্ব অবাক করেছে অনেককেই। লক্ষ্মীপুজোয় অবশ্য থিম নিয়ে মাথাব্যথা করেন না পুজো উদ্যোক্তারা। তবে বীরভূমের সিউড়ি থানার পুরন্দরপুরের আদিরে পাড়ার বিধান স্মৃতি সংঘের পরিকল্পনা একেবারেই ব্যতিক্রমী। সকলকে চমক দিতে এবার ২২ ফুট উচ্চতার লক্ষ্মী প্রতিমা মণ্ডপ আলো করবে। প্রতিমা দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমাবেন বলেই আশা উদ্যোক্তাদের।
সিউড়ি-বোলপুর রাস্তার মাঝেই পুরন্দরপুর হাটতলা। সেখান দিয়ে নেমে গেলেই আদিরে পাড়া। ১৯৭৮ সালে বিধান স্মৃতি সংঘ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথম থেকে ক্লাবে সরস্বতী এবং লক্ষীপুজো হয়। যেহেতু বেশিরভাগ ক্লাব কর্তৃপক্ষ লক্ষীপুজো নিয়ে তেমন মাতামাতি করে না। তাই এই ক্লাব কর্তৃপক্ষ লক্ষ্মীপুজোয় নতুন নতুন চমক নিয়ে তৈরি থাকে প্রতি বছর। বিধান স্মৃতি সংঘের লক্ষ্মীপুজোর এবার ৩৫ তম বর্ষ। চলতি বছর মণ্ডপ সজ্জায় তেমন কোনও বিশেষ চমকের কথা ভাবেননি পুজো উদ্যোক্তারা। নজর প্রতিমায়।
[আরও পড়ুন: জীবনে সুখসমৃদ্ধি চান? লক্ষ্মীপুজোয় এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না]
২২ ফুট বা দোতলা ছাড়ানো লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী অনিল বাগদি। পাড়ুই থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। এর আগে সহকারী হিসাবে বেশ কয়েকটি প্রতিমা তৈরি করেছেন তিনি। তবে এবার নিজে হাতে ২২ ফুট উচ্চতার লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করেছেন অনিলবাবু। মাসখানেকের চেষ্টায় প্রতিমাটি গড়ে তুলেছেন শিল্পী। লেগেছে ২ ট্রাক্টর মাটি। লক্ষ্মীর শোলার মুকুট শিল্পী নিজেই তৈরি করেছেন। তিনি জানান, “এবার লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করেই যশ ও লক্ষ্মীলাভ করতে চাই।”
ক্লাব সম্পাদক শান্তনু দাস বলেন, “আমরা প্রতি বছর লক্ষীপুজো উপলক্ষ্যে নানা থিমের কথা ভাবি। এবারের ভাবনা রাজ্যের সবচেয়ে উঁচু লক্ষী প্রতিমা বিরাজ করবে পুরন্দরপুরে।” পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন ধীবর বলেন, “এবার ২২ ফুট লক্ষ্মীপ্রতিমা রাখা হবে মণ্ডপে। আগামী ৬ দিন প্রতিমা মণ্ডপে থাকবে।” পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ পলাশ সাহা জানান, “আমাদের লক্ষী পুজোর বাজেট প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। খরচের থেকে আমরা দর্শকদের আনন্দ দিতেই একটা উৎসবের পরিবেশ গড়তে সব উদ্যোগ নিচ্ছি।”