সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে রোজই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের বেশি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। একদিনে সংক্রমিত ২,২০০-রও বেশি মানুষ। তবে স্বস্তি দিয়ে সামান্য বাড়ল সুস্থতার হার।
মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হল, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,২৬১ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে ৬৫১ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস (Coronavirus)। এর জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্ত একলাফে বেড়ে দাঁড়াল ৪৭ হাজার ৩০-এ। সমান তালে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে কোভিড পজিটিভ সংখ্যাটা ১৭ হাজার ৮১৩। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে রাজ্যে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। উদ্বেগ অনেকখানি বাড়িয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর জানাল, একদিনে করোনার বলি ৩৫ জন। যার মধ্যে তিলোত্তমাতেই শুধু প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় করোনার বলি ৬০৮ জন। বাংলায় এই মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ১ হাজার ১৮২ জনের প্রাণ।
[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে জলের নিচে মালদহ, নৌকোয় শহর পরিদর্শনে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী]
তবে গত কয়েকদিন সুস্থতার নিম্নমুখী গ্রাফ চিন্তা বাড়িয়েছিল বঙ্গবাসীর। সেই ক্ষেত্রে ছবিটা সামান্য বদলেছে। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৫৯.৬১ শতাংশ। যদিও রাজ্য প্রশাসনের মতে, টেস্টিং বাড়াতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬১৭ জন। যার মধ্যে কলকাতায় একদিনে সুস্থ ৫২০ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলার মোট করোনাজয়ী ২৮ হাজার ৩৫ জন। আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন ১৩ হাজার ৬৪টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২৯টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।
বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission) শুরু হয়েছে। সোমবারই নবান্নের তরফে একথা স্বীকার করে নিয়ে সপ্তাহে দু’দিন করে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বললেন, “ভয়ের কিছু নেই।” কেন বাংলার এই পরিস্থিতি, তাও ব্যখ্যা করেন তিনি। বলেন, “বাংলা অনেকগুলো সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। নানা জায়গা থেকে নানা লোক আসে, রোগও আসে। টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট – এসবের মাধ্যমে রোগ মোকাবিলা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, আরও বাড়ানো হবে। তবে ভাল কথা এই যে, রোগীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। মাত্র ৫ শতাংশ রোগীর অবস্থা কিছুটা আশঙ্কার। তাঁদের ঠিকমতো ট্রেস করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, হয়ত তা চূড়ান্তভাবে তৈরিও হয়ে যাবে, সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ভয়ের কারণ নেই।”
[আরও পড়ুন: চোপড়া কাণ্ড: ফিরোজ আলিকে ‘খুন’! মৃতার পরিবারের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত]
The post রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৭ হাজার, সামান্য স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ appeared first on Sangbad Pratidin.