স্টাফ রিপোর্টার: যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ভুটভুটি নৌকা বন্ধে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। চালু হয়েছিল জলধারা প্রকল্প। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল পঞ্চাশটির বেশি অত্যাধুনিক জলযান। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নদীবক্ষে নামানো হলেও ২৫টি মতো বোট পরিত্যক্ত অবস্থায় আজও পড়ে রয়েছে। স্থানভেদে গঙ্গার জলের গভীরতার তারতম্য এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেগুলোকে নামানো যাচ্ছিল না। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে বোটগুলো একেবারে চলার অযোগ্য হয়ে উঠছিল।
এবার এই সমস্ত জলযানগুলোকে মেরামত করে গঙ্গাবক্ষে নামাতে উদ্যোগী হচ্ছে পরিবহণ দপ্তর। এর পাশাপাশি আরও ১৩টি অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক জলযান নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ময়দান টেন্টে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, পোর্ট ট্রাস্ট এবং শিপিং কর্পোরশনের আধিকারিকরা। এছাড়া কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: জঙ্গিদের টার্গেট! নিরাপত্তা বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের]
সূত্রের খবর, বৈঠকে পড়ে থাকা জলযানগুলোর প্রসঙ্গ ওঠে। জানা যায়, ২৫টি মতো আধুনিক জলযান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টিটাগড়ে পড়ে রয়েছে। আর তার পরই সেগুলোকে মেরামত করে ফের গঙ্গাবক্ষে নামানোর পরিকল্পনা নেন আধিকারিকরা। জলযানগুলো আধুনিকভাবে তৈরি হলেও সেগুলো নদীতে চলাচলের উপযোগী ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকী, উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল।
এবিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথমে দুটো ভেসেলকে রেট্রোফিটিং করে দেখা হবে। যদি সেগুলো চলার উপযোগী করা যায়, তাহলে বাকিগুলোকেও মেরামত করা হবে। তাছাড়া আমরা বৈদ্যুতিক ভেসেল নামাচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি রো রো পরিষেবা শুরুর উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।’’বৈদ্যুতিক জলযানগুলোর মধ্যে কয়েকটি পরিবহণ দপ্তর চালালেও পর্যটন দফতরকেও কয়েকটি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।