স্টাফ রিপোর্টার: গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারল না আরও দুই ওষুধ। যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, জীবনদায়ীও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের টেলমা এইচ, জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিক অ্যামক্সিসিলিন পটাশিয়াম ক্লভুলানেট পরীক্ষায় ফেল করায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, দুই ওষুধেই নেই সঠিক পরিমাণে উপাদান। অর্থাৎ খাওয়াই সার, কাজ করবে না।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ফেল করা দুই ওষুধ দুটি ভিন্ন সংস্থার তৈরি। টেলমা এইচ (ব্যাচ নম্বর ৫২৪০১৯৮)-এর প্রস্তুতকারক গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালের ঠিকানা হিমাচল প্রদেশের সোলান। অন্যদিকে অ্যামক্সিসিলিন পটাশিয়াম ক্লাভুলানেট (ব্যাচ নম্বর aptd ০০২) প্রস্তুতকারক সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড ফার্মাসিউটিক্যাল-এর ঠিকানা বঙ্গের শ্রীরামপুর। দুটি ওষুধের নমুনাই সংগ্রহ করা হয়েছিল বাংলা থেকে। নমুনা সংগ্রহে যে ট্যাবলেটের স্ট্রিপ নেওয়া হয়েছিল তা সম্পূর্ণ অক্ষত। দুই প্রস্তুতকারক সংস্থাই আপাতত ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোলের আতসকাচের তলায়। দুটি ব্যাচের ওষুধকেই ‘এনএসকিউ’ বা নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি-র তকমা দিয়েছে ডায়রেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল, ওয়েস্ট বেঙ্গল। গুণমান পরীক্ষায় ফেল করা দুই ওষুধের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন, সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তার কাছে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টেলমা এইচ অত্যন্ত পরিচিত ওষুধ। অগুনতি মানুষ এই ব্র্যান্ডের ওষুধ খান। সেই ওষুধই গুণমান পরীক্ষায় ফেল করায় চিন্তিত চিকিৎসকরা। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, দু’টি ওষুধই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় টেলমা এইচ। সেই ওষুধ নিম্নমানের, অর্থাৎ ওই ব্যাচের মেডিসিন খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। তা থেকে স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও রক্তচাপ মাত্রাছাড়া হলে বিকল হতে পারে কিডনি।
চিন্তার বিষয় আরও। দু’টি ব্যাচের ওষুধেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে এখনও ঢের দিন বাকি। টেলমা এইচ-এর এক্সপায়ারি ডেট জানুয়ারি ২০২৭, অ্যামক্সিসিলিন পটাশিয়াম ক্লভুলানেট-এর এক্সপায়ারি ডেট ২০২৬-এর মে। সূত্রের খবর, তাই আপাতত ড্রাগ কন্ট্রোলের ইন্সপেক্টররা অতর্কিত হানা দেবেন বাংলার একাধিক ওষুধের দোকানে। এই দুই ব্যাচের ওষুধ কোনও দোকান থেকে বিক্রি হচ্ছে কি না সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।