সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মরশুম শেষ হলেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Bypolls)। তার নিরাপত্তার জন্য এখন থেকেই তৎপর নির্বাচন কমিশন। আগামী সপ্তাহে, পুজোর মধ্যেই রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, আপাতত ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আসছ চারটি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য। গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দহ, দিনহাটা – এই চার জায়গা অর্থাৎ যেখানে আগামী ৩০ তারিখ ভোট রয়েছে, সেখানকার স্পর্শকাতর এলাকায় আপাতত এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করবেন বাহিনীর জওয়ানরা। পরে প্রয়োজনে বাড়তি বাহিনীর মোতায়েন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট হবে কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়। তার নিরাপত্তায় এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। ১৩ অক্টোবর অর্থাৎ পুজোর অষ্টমীর দিনই ২৭ কোম্পানি বাহিনীর এসে পৌঁছনোর কথা বঙ্গে। এই বাহিনীতে রয়েছেন ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF), ৯ কোম্পানি বিএসএফ (BSF), ৫ কোম্পানি এসএসবি (SSB) এবং ৫ কোম্পানি সিআইএসএফ। চারটি কেন্দ্রে ভাগ হয়ে টহলদারি চালাবেন তারা।
[আরও পডুন: গাড়িতে লেখা ‘মহামন্ত্রী, বিজেপি’, তোলা আদায় করতে এসে গুলি–বন্দুক সমেত পুলিশের জালে ৫]
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের ২টি কেন্দ্রে ভোটের জন্য মোট ৩৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ভোটের আগে আরও বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছিল সবরকম অশান্তি এড়াতে। এ মাসের শেষের চারটি কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগই স্পর্শকাতর। তাই এই উপনির্বাচন নিয়ে আরও সতর্ক কমিশন (Election Commission)। আর সেই কারণে এত আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষায় মুড়ে ফেলার উদ্যোগ।
[আরও পডুন: প্রতিবেশী নাবালিকাকে অশালীন ভিডিও দেখিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বালুরঘাটে গ্রেপ্তার সাধু]
শান্তিপুর, খড়দহ, দিনহাটা – এই তিনটিই অশান্তিপ্রবণ কেন্দ্র। কোচবিহার সীমান্ত লাগোয়া জেলা, ফলে দিনহাটার নিরাপত্তা কমিশনের বিশেষ নজরে। অন্যদিকে, অশান্ত টিটাগড়ের পাশের কেন্দ্র খড়দহ। তাই এখানেও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন। অন্যদিকে, শান্তিপুর এলাকা এমনি তেমন ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, ভোটের সময় উত্তপ্ত হয় ওঠে। এবার তা এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের পাঠানো হচ্ছে। মোট কথা, উপনির্বাচনে কোনও কেন্দ্র নিয়েই কোনওরকম ঝুঁকি নয়ে নারাজ কমিশনের কর্তারা। এখন থেকেই সিআরপিএফ, বিএসএফের নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।