স্টাফ রিপোর্টার: বউবাজারের ২৭টি বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে ফেলা হবে। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট জমা দিল বিল্ডিং সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই বাড়িগুলি আর কোনওভাবেই বসবাসযোগ্য করে তোলা যাবে না। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ২৭টি বাড়ির বাসিন্দাদের দ্রুত ফেরানো হবে। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই তাঁদের নিজেদের ঘরে ফেরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মদন দত্ত লেনের দিকেই সেগুলি রয়েছে। তবে কেএমআরসিএলের তরফে সেগুলি পরীক্ষা করে পুরসভার ছাড়পত্র নিয়ে তবেই ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো হবে। অবশ্য আরও ১৬টি বাড়ি ভাঙা হবে না রাখা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই এই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে মৃত্যু কিশোরীর, অশরীরীর আতঙ্কে বাড়ির বাইরে রাত্রিযাপন গ্রামবাসীদের]
মেট্রোর কাজের জন্য ভেঙে পড়েছিল বউবাজারের একাধিক বাড়ি। এরপরই বউবাজারের বাড়িগুলির হাল-হকিকত জানতে তৈরি হয়েছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। মাটি বিশেষজ্ঞ নীতিন সোমের নেতৃত্বে কেএমআরসিএলের তরফে এই বিল্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে রয়েছেন ডঃ সোমনাথ ঘোষ, ডঃ অমিতাভ ঘোষ, চেন্নাই আইআইটি-র ডঃ এল কে পিছুমনি, এবং মিঃ কেনওয়াং। পাঁচজনের এই কমিটি বউবাজার এলাকায় মোট ৭৪টি বাড়ির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে। বুধবার রাতে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে কেএমআরসিএলের কাছে।
বউবাজারে বাড়ি এবং সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের জন্য দু’টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে। তাঁরা নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদান করেই বুঝতে পারছে পরিস্থিতি আগের থেকে কতটা ভাল হয়েছে। কাজের গতি কখন কীরকম করা উচিত। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আবার দুটি কমিটিতেই থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের সুবিধা হয়েছে। কেএমআরসিএলের জেনারেল ম্যানেজার এ কে নন্দী বলেন,”বিল্ডিং সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে। ২৭টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হবে। ২৭টি বাড়ির বাসিন্দাদের ফেরানো হবে। ১৬টি বাড়ির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
[আরও পড়ুন:কলকাতার পুজোয় সরকারি অনুদানের অঙ্ক বাড়তেই আবেদনের হিড়িক উদ্যোক্তাদের]
The post বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন ২৭টি ঘর, বউবাজারে পুজোর আগেই গৃহপ্রবেশের সম্ভাবনা appeared first on Sangbad Pratidin.