shono
Advertisement

Breaking News

উৎসবের মরশুমে সুখবর, এবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে চলবে ২৮টি বিমান

আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত- বাংলাদেশ বিমান চলাচল।
Posted: 10:26 PM Oct 23, 2020Updated: 10:26 PM Oct 23, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: আট মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত- বাংলাদেশ বিমান চলাচল। সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ২৮টি ফ্লাইট ভারত যাবে। সমানসংখ্যক ফ্লাইট ভারত থেকে ঢাকায় আসবে।

Advertisement

তবে বাংলাদেশে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে ফেরাতে মে মাসের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ অবধি কিছু বিমান চলাচল করেছে। করোনার কারণে ভারতে ও বাংলাদেশে আটকাপড়া দুই দেশের নাগরিকদের স্বদেশে ফিরতে হরিদাসপুর-বেনাপোল এবং আগরতলা-আখাউড়া স্থল সীমান্ত পথ খোলা ছিল। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে বিদায়ী হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ হরিদাসপুর-বেনাপোল দিয়ে স্বদেশে ফেরেন। অপরদিকে নবনিযুক্ত হাই কমিশনার আগরতলা-আখাউড়া স্থল সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আগমন করেন। বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দুই দেশের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থায় চলাচলের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলছে দুই দেশের আকাশ।

[আরও পড়ুন : পাকিস্তানের হয়ে অত্যাচার, বাংলাদেশে জারি প্রাক্তন মন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা]

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এবং নভো এয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করবে। অন্যদিকে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং গোএয়ার নামে ৫টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ফলে সপ্তাহে ৫ হাজার বাংলাদেশি ভারত যাওয়ার সুযোগ পাবে। বিমান বাংলাদেশ ঢাকা-দিল্লি ও ঢাকা-কলকাতা, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-চেন্নাই এবং নভোএয়ার ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতি রোগীর সঙ্গে তিনজন করে অ্যাটেনডেন্ট এখন ভারত যেতে পারবেন।

[আরও পড়ুন : করোনার দাপট, পড়ুয়াদের সুরক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশে বাতিল মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা]

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে গত ১২ মার্চ থেকে বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ভারত। সম্প্রতি পর্যটন ছাড়া ৯টি ক্যাটাগরিতে অনলাইনে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন গ্রহণের ঘোষণা করেছে ভারত। অসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, আপাতত তিন মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এয়ার বাবল ব্যবস্থা অনুযায়ী ফ্লাইটগুলো শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যাবে। যেহেতু প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে তাই ফ্লাইটের ভেতরে আসন ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে। কেবল কেবিনের শেষ দুটো সারি ফাঁকা রাখা হবে। কোনো যাত্রী অসুস্থ হলে তাদেরকে ওই ফাঁকা আসনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আগের তুলনায় বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনো হেরফের হবে না বলে তিনি জানান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement