শাহাজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এর মাঝেই একের পর এক জেলা থেকে জাল আধার কার্ড (Fake Adhaar Card) তৈরির খবর সামনে আসছে। বাঁকুড়া, নদিয়ার পর এবার আধার প্রতারণা নিয়ে খবরের শিরোনামে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে জাল আধার বানিয়ে দিচ্ছিল তিন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে সাগরগিঘি এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একাধিক কম্পিউটার, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার যন্ত্র-সহ একাধিক নথি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাগরদিঘির গোবর্ধনডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দস্তুরহাট নিচু পাড়া এলাকায় জাল আধার কার্ড তৈরির খবর মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে এ সংক্রান্ত খবর দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযান চালায় জঙ্গিপুর পুলিশ। দেখা যায়, একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মোট টাকার বিনিময়ে জাল আধার তৈরির ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জাল টিকা রুখতে কড়া স্বাস্থ্যদপ্তর, প্রতিদিন ওয়েবসাইটেই দেখে নিন টিকাকেন্দ্রের তালিকা]
ধৃতদের নাম অতুল চৌধুরী, বিজয় রায় এবং আমজাদ শেখ। তারা জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অতুল চৌধুরী এর আগে আধার কার্ড তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্র ধরেই পরিচয়পত্র তৈরির প্রক্রিয়া তার নখদর্পণে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে পাসওয়ার্ড, আইডি হ্যাক করে অতুল। সেই আইডি দিয়ে জাল আধার কার্ড বানানোর কাজ চলছিল গত একমাস ধরে। শেষে পুলিশের তৎপরতায় সেই চক্র ধরা পড়ল।
এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, “এক মাস ধরে এই চক্র কাজ করছিল। মূলত ধৃত অতুলই অভিযুক্ত। বাকিরা ওকে সাহায্য করেছিল। তাই মূল অভিযু্ক্তকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।” আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া জেলায় এভাবে জাল আধার কার্ড তৈরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বাঁকুড়া, নদিয়াতেও জাল আধারকার্ড তৈরির চক্র ধরা পড়েছে।