অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বাড়ি থেকে বেরচ্ছে পচা গন্ধ। পাইপ বেয়ে পড়ছে রক্ত। শনিবার দুপুরে এই দৃশ্য দেখে শিউড়ে উঠেছিলেন লিলুয়ার বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দারা। অঘটন ঘটেছে বুঝেয় তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ এসে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে দুতলায় উঠতেই হাড়হিম করা দৃশ্য চোখে পড়ে তাদের। সিলিং থেকে ঝুলছে বাবা-মা-মেয়ের দেহ। ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, লিলুয়ার (Liluah) বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস। তাঁর বাড়ির দু’তলার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অভিজিৎ বাবু এবং তাঁর স্ত্রী দেবযানী দাস( ৪২) ও তাঁদের মেয়ে সম্রাজ্ঞী দাসের(১৪) দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর. বুধবার নাগাদ আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ভ্রূণের থ্যালাসেমিয়া হলেও গর্ভপাতে বাধা নেই, রোগ নির্মূল করতে নয়া উদ্যোগ রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের]
পাড়ায় মিশুকে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অভিজিৎবাবু। এলাকা ওয়েল্ডারিং এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন তিনি। ক্লাবেও যাতায়াত ছিল তাঁর। পরিবারে স্ত্রী, মেয়ে ছাড়াও ছিলেন তাঁর মা ও কাকা। একই বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। মা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ির একতলায় থাকতেন। দেখভাল করতেন এক মহিলা। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে অভিজিৎবাবু এবং তাঁর পরিবারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। রেইন পাইপ দিয়ে রক্তর স্রোত বেরতে দেখা যায়। তার পরই পুলিশকে ফোন করেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কয়েক মাস ধরেই ব্যবসায় লোকসান হচ্ছিল অভিজিৎবাবুর। পারিবারিক সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। এর জেরেই তিনি সপরিবারে আত্মঘাতী হলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যুর অন্যান্য কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।