শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা। আসানসোলের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের। মৃতদের মধ্য়ে দুজন মহিলা ও এক কিশোরী রয়েছে বলে প্রাথমিক খবর। জখম আরও ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও এই ঘটনা যখন ঘটে সেই সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ, বিজেপির তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দেখা নেই স্থানীয় নেতৃত্বের। এদিকে এতবড় অনুষ্ঠানের পুলিশি অনুমতি ছিল না বলেই সূত্রের খবর। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ। ওই অনুষ্ঠানে মূল অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নামে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সেথানে হাজির ছিলেন জেলার শীর্ষস্তরের বিজেপি নেতারা। ওই ওয়ার্ডটি বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারির। তিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মূলত তাঁরাই এই অনুষ্ঠানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর তাঁদের টিকিও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘চাঁদের পাহাড়’-এর আলভারেজ পারেননি, মেসির সঙ্গী নিজেই ‘হিরের টুকরো’]
জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ হাজার কম্বল বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু প্রতীকীভাবে ৩-৪টি কম্বল বিলি করে মঞ্চ থেকে নেমে যান শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে চলে যান তিনি। এরপরই কম্বল পাওয়া যাবে না এই আশঙ্কায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের।
আহতরা আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয়ছে কিশোরীর। নাম প্রীতি সিং (১২)। মৃত এক মহিলার পরিচয় মিলেছে। নাম চাঁদমনি দেবী(৪৫) ও ঝালি বাউরি (৬০)।
[আরও পড়ুন: নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি: ২০১৬’র পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর]
প্রসঙ্গত, ১৪ ডিসেম্বর কিছু একটা ঘটবে বলে রাজ্য় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এবার সেদিন তাঁর অনুষ্ঠানেই ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।