কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ পথচারীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রেজিনগর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের তকিপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটেকের দিলওয়ার শেখ, বছর পঞ্চাশের কিতাবুদ্দিন শেখ ও বছর পঁয়ত্রিশের মনিরুল শেখ। অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার ভোরে স্থানীয় মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফিরছিলেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। সেই সময় রেজিনগর এলাকায় বহরমপুরগামী একটি ট্রাক ধাক্কা দেয় তাঁদের। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ৩ জনই। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই তাঁরাই আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রথমেই ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শুরু হয় গুরুতর অসুস্থ অপরজনের চিকিৎসা। কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনিও। এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উঠে যায় অবরোধ।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলা তৃণমূলের মরণ কামড়’, কটাক্ষ লকেটের]
স্থানীয়দের কথায়, ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ট্রাক চালক। সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি গাছে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এরপর ধাক্কা দেয় ওই তিনজকে। সত্যিই কি চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই মর্মান্তিক কাণ্ড? নাকি অন্য কোনও যান্ত্রিক সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল ট্রাকটি? ট্রাকটির গতিই বা কত ছিল? চালক ও ঘাতক গাড়ির হদিশ পেলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাতসকালে এই মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতদের পরিবার। ঘাতক গাড়ির চালকের কোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।