সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেতেই-কুকি জাতি দাঙ্গায় উত্তপ্ত মণিপুরে ফের ঝরল রক্ত। নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুরের কোয়াকতা এলাকায়। দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মেতেই সম্প্রদায়ের অন্তত তিন জন বলে খবর।
বিষ্ণুপুর পুলিশ সূত্রে খবর, কুকিদের বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় মেতেই অধ্যুষিত অঞ্চলে ‘বাফার জোন’ পেরিয়ে কয়েকজন ঢুকে পড়ে এবং গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেই প্রাণ হারান কমপক্ষে তিন জন মেতেই।
গত বৃহস্পতিবারই বিষ্ণুপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মেতেই মহিলা বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে আহত হয়েছিলেন ১৭ জন। ঘটনার সূত্রপাত হয় মেতেই গোষ্ঠীর মহিলারা সেখানকার ব্যারিকেডে ঘেরা এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে। অসম রাইফেলস ও র্যাফ তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর, জেহাদিদের হামলায় শহিদ ৩ জওয়ান]
উল্লেখ্য, গত তিন মাস জাতি হিংসায় জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। গত ৩ মার্চ ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত দেড়শোর উপর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। ঘর ছাড়া লক্ষাধিক। হিংসা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে মণিপুর ও কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে শান্তি ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রকে বারে বারে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। সংসদের বাদল অধিবেশনে হট্টগোল হসেও এখন মণিপুর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে লোকসভায়। আগামী ৮ আগস্ট থেকে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ১০ আগস্ট বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেই নতুন করে হিংসায় ফের অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর।