রাজা দাস, বালুরঘাট: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar Scheme) প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ। বেআইনিভাবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কাঠগড়ায় তিন যুবক। তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃত তিন যুবক নাজিমুল হক (২৭), সুভাষ রবিদাস (২৪) এবং বিকাশ রবিদাস (২৫) দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তারা গঙ্গারামপুর ব্লকে অস্থায়ীভাবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ডেটা এন্ট্রির কাজ করত। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে ওই ব্লকের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজের জন্য তৈরি মেল অ্যাড্রেস হ্যাক করে। পরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের পোর্টালে ঢোকে। টাকা হাতিয়ে নেয় তিন যুবক। অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা নেয় তারা। প্রতারণার ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই বিডিও তদন্তে নামেন। প্রতারণার ঘটনায় গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও দেওয়া শেরপা ওই তিন যুবকের নামে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: আচমকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তুঙ্গে BJP নেত্রীর দলবদলের জল্পনা]
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে’র মতোই শুরু হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে পান ৫০০ টাকা। তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা অ্যাকাউন্টে মাসে এক হাজার টাকা করে পান।
তৃণমূল সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে গত ৫ মে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ২০ লক্ষ মহিলার হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র প্রাপ্য টাকা তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের ১ কোটি ৫১ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হলেন বলেও জানান তিনি।