অর্ণব দাস, কামারহাটি: ফের জমা জলে মর্মান্তিক মৃত্যু। বাড়ির ভিতরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সদস্যের। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ থানা এলাকায়।
খড়দহ থানার অন্তর্গত পাতুলিয়ার সরকারি আবাসনের বাসিন্দা রাজা দাস (৩৫)। টানা বৃষ্টিতে তাঁর বাড়িতে জল ঢুকেছে। সেই জল এখনও বেরয়নি। এদিন সেই জলে দাঁড়িয়েই ফ্রিজের প্লাগ সুইচবোর্ডে লাগাচ্ছিলন তিনি। সেই সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁকে ওই পরিস্থিতিতে দেখে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী পৌলমী (২৯)। তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাবা-মাকে দেখে ছুটে যায় তাঁদের ১১ বছরের ছেলে। সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ভাসছে কামারহাটি, জলে নেমে পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন বিধায়ক মদন মিত্র]
বাবা-মা-দাদাকে ওই অবস্থায় দেথে ভিতরের ঘর থেকে চিৎকার করতে শুরু করে তাঁদের ছোট ছেলে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই তিনজনকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, মে মাসে খাস কলকাতায় রাজভবনের সামনে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল শহরতলি টিটাগড়ে। তিনদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন টিটাগড়ের একাধিক এলাকা। সেই জলেই পড়েছিল বিদ্যুতের ছেঁড়া তার। আর সেই তারে পা পড়তেই মৃত্যু হয় এক স্কুল পড়ুয়ার। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার মোহনপুর উত্তরপাড়া এলাকায়।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! জমা জলে ছিঁড়ে পড়ল তার, টিটাগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ছাত্রের]
মৃত কিশোরের নাম হীরালাল রায় (১৫)। সে শিউলি গোসাইপাড়ার বাসিন্দা। শান্তিনগর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। জানা গিয়েছে, তার দিদিকে কোচিংয়ে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল হীরালাল। তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে সেই রাস্তায়। সেই রাস্তাতেই জলের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। রাস্তায় জমা জলে পা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই ছাত্র।