অর্ণব আইচ: কসবায় সিবিআই সেজে ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় একই দিনে গ্রেপ্তার আরও তিন। প্রথমে কয়েক দফায় এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তিনটি আলাদা জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হল আরও ৩ জনকে। এই নিয়ে মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর, CBI সেজে এই অপহরণের পিছনে রয়েছে আরও কয়েকজন অভিযুক্ত। তাদের কার কী ভূমিকা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি কসবা থেকে সিবিআই সেজে অপহরণ করা হয় ব্যবসায়ী অজিত রায়কে। অপহরণের পর তাঁকে নিজাম প্যালেসে লুকিয়ে রাখা হয়। তাঁর বাড়িতে ফোন করে দু’কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই ব্যবসায়ী। তদন্ত শুরু করে একের পর এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করেই জানা যায় যে, আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে এই অপহরণ কাণ্ডে। সেই সূত্র ধরে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের আগরপাড়ায় তল্লাশি চালিয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা প্রদীপ দেবনাথ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বান্ধবী’ খুঁজে ঘনিষ্ঠতার জের, ৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন যুবক]
দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগরের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা অমিত ঘোষ ওরফে বুম্বা এই ঘটনার পরই মুর্শিদাবাদে গা ঢাকা দিয়েছিল। ওই জেলার লালবাগের মতিঝিলে তল্লাশি চালিয়ে অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণকাণ্ডে এর আগে ওই এলাকা থেকেই ধৃত এক মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গী ছিল সে। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার পাটনা রোডের বাসিন্দা সুরজিৎ চন্দ পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এদিন তাকেও গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, সিবিআই সেজে অপহরণের সময় এদের কেউ নিজে সিবিআই সাজে। আবার কেউ ওই ব্যবসায়ীকে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। দু’জন মুক্তিপণের টাকাও আনতে গিয়েছিল। বিভিন্ন পেশায় থাকা ওই ব্যক্তিদের মোটা টাকার টোপ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই মুক্তিপণের সাত লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বাকি টাকা ধৃতদের কয়েকজনের কাছেই রয়েছে। ওই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।