রমেন দাস: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ডে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে ৬০ দিনের মাথায় ঘোষিত হতে চলেছে রায়। আগামী ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালত এই মামলার রায়দান করবে বলে জানা গিয়েছে। একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে গত ১৮ নভেম্বর থেকে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন নিহতের পরিবার, সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, একা সঞ্জয়ের কাজ নয় এটা। তার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা অধরাই থেকে গেল। তাদেরও চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক, এই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের রাজপথে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়ারা এদিন শিয়ালদহ আদালতের এই দিনক্ষণ শুনে ফের মিছিলে নামেন। সঙ্গে আরও অনেকে। আসফাকুল্লার নাইয়ার কথায়, ''একটা মর্মান্তিক ঘটনা, তার বিচার হয়ে শাস্তি হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘটনায় একজনকে ঘিরেই বিচার চলল এতদিন। একজন নাকি একাধিক জড়িত এই ঘটনায়, তার সমাধান হল না। আমাদের দাবি, যাদের আড়াল করা হচ্ছে, তাদের সামনে এনে বিচার হোক।'' হাঁটতে হাঁটতে অনিকেত মাহাতো বললেন, ''আমরা আদালতের অধীনে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম। তা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক চার্জশিটের পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কোথায়? CFSL বা ফরেনসিক রিপোর্ট কেন খতিয়ে দেখা হল না? তদন্ত সঠিক পথে এগিয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। এই অবস্থায় রাজপথ ছাড়া আমরা আর কোথায় যাব?''
সঞ্জয় একা অভিযুক্ত নয়, তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত যারা অত্যন্ত প্রভাবশালী, বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন এই দাবি বারবার উঠেছে। এই দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবারও। তবে সিবিআই সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধরেই বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। যদিও অনেকে আস্থা রেখেছিলেন সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের উপর। তাতে যদি আরও অভিযুক্তের নাম থাকে। কিন্তু তা পেশ হয়নি এখনও।
দেখুন ভিডিও: