সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত হিংসাদীর্ণ মণিপুর। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ৩ জন কুকি। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করার পরও থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কাংপোকপি জেলার কাংগুই এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। কাংপোকপি জেলার পুলিশ সুপার থলু রকি জানিয়েছেন, ৩ জন কুকি (Kuki) গাড়ি করে আসছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর গুলি চালানো হয়। যদিও এই হামলা ছিল অতর্কিতে। কোনও গুলির লড়াইয়ের খবর মেলেনি। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।” ইম্ফল ওয়েস্ট (Imphal West) ও কাংপোকপি জেলায় সন্দেহভাজনদের খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও অসম রাইফেলস।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে সরকারের নিশানায় সংবাদমাধ্যম, এডিটর্স গিল্ডের সদস্যদের রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠেছিল মণিপুর (Manipur)। সূত্রের খবর, সশস্ত্র স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেনাবাহিনীর। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুকি ও মেতেই দুই সম্প্রদায়ের জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে হাতিয়ার জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। তবে সন্ত্রাসদমন প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে মেইরা পাইবির মতো সংগঠনগুলি। সাধারণ মানুষ বা ‘ভূমিপুত্র’রা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের জঙ্গিদের আড়াল করছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরাল।
উল্লেখ্য, পাঁচ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গায় পুড়ছে মণিপুর। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই । আহত বহু। শান্তি ফেরাতে আসরে নামতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও। এই প্রেক্ষাপটে মণিপুরে ‘মানবাধিকার হনন’ ও সরকারের ‘অপর্যাপ্ত’পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে রিপোর্টে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞরা।