রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: একই পরিবারের তিনজনকে নলি কেটে খুন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) পলাশিপাড়ার রানিনগরে। ইতিমধ্যেই দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়ানতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কী কারণে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার পলাশিপাড়ার রানিনগরের তুতবাগানের বাসিন্দা রাজোয়ার পরিবার। ডোমন রাজোয়ার ও সুমিত্রা রাজোয়ারের মেয়ে মালা। তিনি বিবাহিত। তিন সন্তান রয়েছে। তবে কর্মসূত্রে স্বামী হরিয়ানায় থাকায় বাপের বাড়িতেই থাকতেন মহিলা। অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার রাতেও বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে নারকীয় হত্যালীলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা হানা দেয় রাজোয়ার বাড়িতে। গলার নলি কেটে খুন করা হয় দম্পতি ও তাঁদের মেয়েক।
[আরও পড়ুুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে বাড়ল পজিটিভিটি রেট, চিন্তায় রাখছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও]
পরে বাড়ির পাশের রাস্তায় মালার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর ঘর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির নলিকাটা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়রাই খবর দেয় থানায়। পলাশিপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেছে দেহ তিনটি। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
কে বা কারা রয়েছে ঘটনার নেপথ্যে? কী কারণে খুন? রাতে পরপর তিনটি খুনের ঘটনা স্থানীয়রা কেউ টের পেলেন না? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মালার স্বামী। তা নিয়ে বহু অশান্তিও হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী তবে ওই অশান্তি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মালার স্বামীর দাবি, এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা ছিল। তারা সকলকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ওই যুবক জানিয়েছেন, ফিরে ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।