দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুন। নৃশংসতার সাক্ষী হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলা। ইতিমধ্যেই দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পলাতক মূল অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ। স্ত্রী মিতালী ও মেয়ে শিল্পাকে নিয়ে চণ্ডীতলার (Chanditala) নৈতি এলাকায় থাকতেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর। একাধিকবার তা চরম আকার নেয়। অশান্তি মেটাতে সালিশি সভার আয়োজনও করা হয়েছিল। তাতে সাময়িক সমস্যা মিটলেও পরবর্তীতে নতুন করে ফের অশান্তি বাঁধে তাদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: হলদিয়ায় ক্লোরাইড মেটাল কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে যান। দেখতে পান, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সঞ্জয়, মিতালী, শিল্পার দেহ। স্থানীয়রা জড়ো হওয়ার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় মূল অভিযুক্ত। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ যায় মৃতের বাড়িতে। দেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে একজনকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই ঘোষ দম্পতি ও তাঁদের মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কার্যত একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল সিঙ্গুর। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রথম থেকে সন্দেহের তালিকায় ছিল নিহতদের নিকট আত্মীয়রা। ঘটনার দিন বিকেলেই দু’জনকে আটক করা হয়। পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার চণ্ডীতলায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে মূল অভিযুক্তের।