অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব এবং ভাঙচুরের ঘটনায় এবার শাস্তির মুখে পুলিশ আধিকারিকরা। গত বুধবার আর জি করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় একদল বহিরাগত। সেই ঘটনায় এবার তিনজন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজন আধিকারিকই তাণ্ডবের রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, দুজন এসি এবং একজন ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন এসির নাম যথাক্রমে মহম্মদ শাকির উদ্দিন সরকার এবং রমেশ শাহ চৌধুরী। সাসপেন্ড হয়েছেন ইনস্পেক্টর রাকেশ মিঞ্জও। গত বুধবার আর জি করে ভাঙচুরের সময়ে হাসপাতালেই কর্তব্যরত ছিলেন তাঁরা। আপাতত তিন পুলিশ আধিকারিকলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে তিনজনের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: আর জি করে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীই, লিখিত সুপ্রিম রায় প্রকাশ পেতেই কাটল ধোঁয়াশা]
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নেন মহিলারা। অভিযোগ, ওই রাতেই আর জি করে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। এই ঘটনায় ভেঙে তছনছ হয়ে যায় হাসপাতাল। জখম হন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। জরুরি বিভাগ, ওষুধের স্টোররুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনা নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুরুতেই দুটি ভিডিও দেখান। একটি ১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের এবং অপর ভিডিওটি ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের। কীভাবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহিরাগতরা ঢুকে পড়লেন, তা ওই ভিডিও দুটির মাধ্যমে দেখানো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগে কার্যত দায় স্বীকার করে নেন সিপি। ইতিমধ্যেই সেদিন তাণ্ডব চালানোয় অভিযুক্ত ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এবার শাস্তির মুখে পুলিশও।