সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) ছয় পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পুলিশ হেফাজতে দুই অভিযুক্তের উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়। অভিযুক্তদের একজন আইনজীবী। তাঁকে সহ-অভিযুক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। তদন্তে নেমে আপাতত তিন পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মুক্তাসর জেলার। মোট অভিযুক্ত ছজন পুলিশকর্মী। এদের মধ্যে একজন এসপি পদমর্যদার। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনিভাবে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার চালানো। এমনকী আইনজীবীকে সহ-অভিযুক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে মুক্তাসরের এসপি রমনদীপ সিং ভুল্লার, ইন্সপেক্টর রমন কুমার কামবোজ, কনস্টেবল হরবংশ সিং, ভূপিন্দর সিং, গুরপ্রীত সিং এবং হোম গার্ড দারা সিং-এর বিরুদ্ধে। ইতমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, রমনদীপ, রমন কুমারএবং কনস্টেবল হরবংশকে।
[আরও পড়ুন: মেরুকরণের পুরস্কার! রাজস্থান ভোটে গুরুদায়িত্বে সেই বিজেপি সাংসদ বিধুরি]
১৪ সেপ্টম্বর আইনজীবী এবং আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ইন্সপেক্টর রমন কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তরা করা হয়েছিল তাঁদের। রমন অভিযোগ আনেন, ওই আইনজীবী এবং তাঁর সঙ্গী বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে হেনস্তা করেছেন। কয়েকজের অফিসারের ইউনিফর্মও ছিঁড়ে দেন। এর পরেই অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘আমার বাড়ি নেই’, প্রচার সভায় দাবি মোদির]
মঙ্গলবার নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিবাদে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি ডাকে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বরখাস্তের দাবি জানায়। ২২ সেপ্টেম্বর
মুক্তাসরের নিম্ন আদালত আইনজীবীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। এর পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্ত। ঘটনায় চার সদস্যের ‘সিট’ গঠন করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্তার নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।