মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের কাশ্মীরে (Kashmir) সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। পুলওয়ামার (Pulwama) কাকাপোরায় (Kakapora) যৌথ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের (Terrorist) গুলির লড়াইয়ে তিনজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এখনও সেখানে আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআরপিএফ ও সেনার যৌথ বাহিনী এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
আগে থেকেই খবর ছিল, দক্ষিণ কাশ্মীরের ওই এলাকায় ২ থেকে ৩ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। এরপর সেখানে যৌথ বাহিনী তল্লাশি শুরু করলে আচমকাই তাদের উপরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনী। শুরু হয়ে যায় এনকাউন্টার। সূত্রানুসারে, আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে দু’জন গত সপ্তাহে নওগাম জেলার বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা করেছিল। সেই হামলায় এক পুলিশকর্মী মারা গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সেনা ইতিমধ্যেই জঙ্গিদের পরিবারগুলিকে আটক করেছে। এরপর জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জঙ্গিরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে লাগাতার গুলি চালিয়ে যেতে থাকে।
আগেই এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এনকাউন্টার চলাকালীন এক অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তবে সে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলওয়ামার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি জেহাদিদের, প্রাণ গেল নিরাপত্তারক্ষীর]
প্রসঙ্গত, এই বছরে বেশ কিছু জঙ্গি দমন অভিযান হয়েছে। বিশেষ করে শোপিয়ান ও পুলওয়ামায়। সব মিলিয়ে দশটি অভিযানে ২০-র বেশি জঙ্গি খতম হয়েছে। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর লাগাতার অভিযানে কাশ্মীরে কোণঠাসা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। তবে লেপোরায় তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন জঙ্গিদের গুলিতে। গত সপ্তাহে সোপোরে দু’জন কাউন্সিলর ও একজন নিরাপত্তাকর্মীও মারা যান। গত বছরের শেষদিকে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জঙ্গি হামলার ঘটনা অনেক কমেছে কাশ্মীরে। কিন্তু নতুন বছরে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। যদিও সেনার কড়া নজরদারিতে তারা কোণঠাসাই রয়েছে।