সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারের পর শনিবারও কাশ্মীরে অব্যাহত সন্ত্রাসদমন অভিযান। আর সেই অভিযানেই মিলল সাফল্য। শনিবার রাতভর জম্মু-কাশ্মীরের পাঠানচকে (Pathanchawk) চলে গুলির লড়াই। তাতেই নিকেশ তিন জঙ্গি। শহিদ হয়েছেন এক পুলিশকর্মীও।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে পাঠানচকে পুলিশের চেক পোস্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পুলিশকর্মীদের হাত থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। তাতেই বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। বাধা পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে জঙ্গিরা। তবে তাদের পিছু ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা। শুরু হয় জঙ্গি-পুলিশ দু'পক্ষের গুলির লড়াই। সেই সময় জঙ্গিদের গুলিতে এক পুলিশকর্মী শহিদ হন। এছাড়াও তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযান শেষ হলেও গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি চলছে।
এই নিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টায় তিনবার এনকাউন্টার হল। এর আগে পুলওয়ামার জাডুরা (Zadoora) এলাকায় লস্কর-ই-তৈইবার (LeT) জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। এরপরই শুক্রবার রাতের অন্ধকারে গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয় অভিযান। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাতে থাকে যৌথবাহিনী। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় জওয়ানরাও। লস্করের সদস্যদের আত্মসমর্পনের কথা বললেও তারা রাজি হয়নি। দু'পক্ষের গুলির লড়াইয়ে তিন জেহাদি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। সন্ত্রাসবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হন এক জওয়ান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ৯২ বেসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: সীমান্ত নিয়ে বাড়ছে সংঘাত, চিনের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় না ভারতের]
শুক্রবারই এক অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে চার জেহাদি। গোপন খবরের ভিত্তিতে এদিন সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট মতো কিলোরা এলাকায় জঙ্গিঘাঁটি ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। নিহত হয়েছে চার সন্ত্রাসবাদী। একজন আত্মসমর্পন করেছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম শকুর পারে। সে আল বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার। অন্যজনের নাম সোহেল ভাট। এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিসের আইজিপি। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়।