অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ‘যুব সংকল্প যাত্রা’ শুরুর আগেই পুলিশি বাধা। ধুন্ধুমার শিলিগুড়ির (Siliguri) হাসমি চকে। জোর করে একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করল পুলিশ। কর্মীদের মনোবল বাড়াতে জোর করে পুলিশের গাড়িতে উঠলেন অর্থাৎ গ্রেপ্তারি বরণ করলেন বিধায়ক শংকর ঘোষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতসকালেই তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় শিলিগুড়ির হাসমি চকে ‘যুব সংকল্প যাত্রা’ শুরুর কথা ছিল। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাজু বিস্তার (Raju Bista)। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবার ভোর থেকে জমায়েত শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। সাফ জানানো হয়, এই মুহূর্তে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। প্রতিবাদে সুর চড়ান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জডিয়ে পড়েন তাঁরা। এর জেরেই ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কয়েকজন কর্মীকে আটক করে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকেও গ্রেপ্তারির দাবি জানান বিধায়ক শংকর ঘোষ।
[আরও পড়ুন:তল্লাশির নামে BSF জওয়ানদের দুর্ব্যবহার! পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মবিরতি পরিবহণ কর্মীদের ]
জানা গিয়েছে, পুলিশের তরফে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে জোর করে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়েন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও অনুমতি ছাড়াই কোভিড পরিস্থিতিতে বিজেপির তরফে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কারণেই গ্রেপ্তারি। উল্লেখ্য, এদিনই বিজেপির তরফে মৃত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ সম্মান যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপির সদর দপ্তর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন সুভাষ সরকার। এই কর্মসূচিতে শামিল হবেন মোট ৪ মন্ত্রী। তাঁরা হলেন সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar), নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik), জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর। নিহত কর্মীদের বাড়ি যাবেন তাঁরা।