সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ লকডাউনের (Lockdown) দিনেও ফের রাজ্যে বাড়ল করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। তবে উদ্বেগের মাঝেও আশা জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। শুধুমাত্র একদিনে কোভিডকে হারিয়ে ৩০১৬ জন বাড়ি ফিরেছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বেড়েছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫৭ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই সংক্রমিত হয়েছেন আরও ৫৪৩ জন। বর্তমানে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩২ জন। অদৃশ্য এই ভাইরাসে সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। তবে তা সত্ত্বেও প্রাণহানি যে একেবারেই হচ্ছে না তা বলা যাবে না। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। তার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৮২৮ জন।
তবে পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, আশার আলো জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। রাজ্যের ৮৬.১০ শতাংশ করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ১৬ জন। তার ফলে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৩ জন। এখনও ভ্যাকসিনের প্রতীক্ষায় গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে টেস্টিংকেই করোনা রোখার একমাত্র হাতিয়ার হিসাবে ধরা হয়েছে। তাই যত সম্ভব টেস্ট বাড়ানোর উপরেই জোর দিচ্ছে প্রত্যেক রাজ্য। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। শুক্রবার কোভিড টেস্ট হয়েছে ৪৫ হাজার ৩২৬ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ২৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬০৯ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা যাঁদের করানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৮.২৬ শতাংশ ব্যক্তিরই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
[আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্মদিন বলে কথা, কোচবিহারে স্কুলেই বসল মদের আসর, হাতেনাতে পাকড়াও ৬ ছাত্র]
সাপ্তাহিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনাকে রোখার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী শুক্রবারই ছিল লকডাউন। শনিবারও রাজ্যে লকডাউন ছিল। তবে NEET পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। চলতি মাসে আবারও রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও নবান্নের তরফে কিছুই জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদের জের, হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেসবুক লাইভ করে আত্মঘাতী শিক্ষক]
The post রাজ্যে পরপর দু’দিনই বাড়ল করোনা সংক্রমণ, মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার appeared first on Sangbad Pratidin.