সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশজুড়ে ভাঙা হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু' শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি। কোথাও হাতুড়ি মেরে তো কোথাও ক্রেন দিয়ে একের পর এক মূর্তি গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কালি লেপে দেওয়া হচ্ছে মুজিবের ছবিতে। এবার এই বিদ্বেষ থেকে রেহাই পেল না অতীতের রক্তভেজা স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি। যেখানে ঘাতকের বুলেটে সপরিবারে খুন হয়েছিলেন মুজিব।
সেই বাড়ির সিঁড়ির মাঝ বরাবর বুলেটবিদ্ধ মুজিবের সাদাকালো ছবিটা আজ সকাল অবধিও টাঙানো ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে কপ্টারে চেপে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরই জ্বলে খাক হয়ে গেল ধানমন্ডির সেই বাড়ি। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য় রক্ত দিয়েছিলেন মুজিব, সেই দেশের জনতাই পুড়িয়ে ছাই করে দিল তাঁর শেষস্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি। যেটি পরে মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি-জয়শংকর জরুরি বৈঠক, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কী বললেন রাহুল?]
ধানমুন্ডির এই বাড়িতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে অভ্যুত্থানকারী সেনাদের গুলিতে নৃংশসভাবে খুন হয়েছিলেন মুজিবর। তিনি একা নন, প্রাণ গিয়েছিল স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলের। দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালও খুন হয়েছিলেন। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান মুজিবের দুই কন্যা, হাসিনা এবং রেহানা। এদিন তাঁরা দেশ ছাড়ার পরই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়িটি।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা-সহ সোমবার বেলা আড়াইটেয় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। এর আগে দুপুরে সেনা সদরদপ্তরে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জামাত নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল-সহ অনেকে বৈঠকে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।