সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajashtan) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরে এখনও থমথমে উদয়পুর (Udaipur)। ১৩ জুলাই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। এই অবস্থায় এবার একসঙ্গে বদলি করা হল রাজ্যের ৩২ জন পুলিশ অফিসারকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইনস্পেক্টর জেনারেল ও উদয়পুরের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্টও। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনের হুমকির কথা জানিয়ে করা কানহাইয়া লালের আরজির পরও পুলিশের কেন তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি, উঠছে প্রশ্ন। আর সেই অভিঘাতেই ‘শাস্তি’র মুখে পড়তে হল এতজন পুলিশ আধিকারিককে।
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থন করে পোস্ট করার পর থেকেই খুনের (Udaipur Violence) হুমকি পাচ্ছিলেন কানহাইয়া লাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছিলেও তিনি। তাঁর নৃশংস হত্যার পর থেকেই তাই সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, কেন প্রকাশ্য়ে খুনের হুমকির কথা জানানোর পরেও কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি? অবশেষে বদলি করা হল সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি নেই দেশের করোনা পরিসংখ্যানে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৭ হাজারের উপরে, বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস]
এদিকে অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৩ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে নিয়ে আসার সময় তাদের মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি আদালত চত্বরে প্রবেশ করার পরই সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বহু আইনজীবীকে। তাঁরা অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
উদয়পুরে নতুন করে অশান্তি না ছড়ালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি হত্যার প্রতিবাদ মিছিল করছে। উদয়পুরে মিছিল বার করে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’। সেখান পাথরবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
এদিকে কানহাইয়া লালের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ওই তহবিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন। এখনও অবধি মোট অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ। সময় মতো ওই টাকা কানহাইয়া লালের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।