সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে প্রায় স্তব্ধ গ্রেট ব্রিটেন। আর এই আতঙ্কেই মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ব্রিস্টলের ৩৪ বছরের যুবক। ভুল ধারণার বশে অতিরিক্ত জল পান করে নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর উপস্থিত বুদ্ধিতে এ যাত্রায় রেহাই পেলেন লিউক।
ব্রিটিশ সরকারের কর্মী লিউক। ব্রিস্টলের প্যাচওয়ে এলাকায় বাস করেন স্ত্রী লরার সঙ্গে। কোনওভাবে লিউকের ধারণা হয়েছিল তিনি করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত। ভয়ে চিকিৎসককেও খবর দেননি। কেউ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিল, বেশি করে জল পান করতে। তাতেই নাকি করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই পরামর্শ মেনেই দিনে পাঁচ লিটারেরও বেশি জল পান করতে শুরু করেন ৩৪ বছরের যুবক। এতেই মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন।
[আরও পড়ুন: করোনা ভয়াবহ, তবে সবচেয়ে বড় মহামারী নাও হতে পারে! ফের বিস্ফোরক WHO কর্তা]
অতিরিক্ত জল পান করার জন্য লিউকের শরীরের যাবতীয় সোডিয়াম মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এতে শরীরে লবনের পরিমাণ কমে যায়। বাথরুমে গিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যান ৩৪ বছরের যুবক। স্বামীর পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনেই ছুটে বাথরুমের দিকে যান ৩৯ বছরের লরা। প্রথমটায় ঘাবড়ে গেলেও নিজেকে সামলে নেন। আপৎকালীন নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে বলেন। বিস্তারিত ঠিকানা দেন। তারপর বাথরুমের দরজার সামনে বসে পড়েন। ক্রমাগত লিউকের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। স্বামীকে সম্পূর্ণ জ্ঞান হারাতে দেননি তিনি। বারবার নানা ঘটনা স্মরণ করিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সূন্দর মূহূর্তগুলির কথা বলে গিয়েছেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা না পৌঁছানো পর্যন্ত গল্প করে গিয়েছেন লরা। তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই আপাতত সুস্থ আছেন লিউক। তবে চিকিৎসকরা জানান, সম্পূর্ণ জ্ঞান হারালে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে আসতে যদি আর কিছু সময় দেরি হত তাহলে প্রাণ হারাতেন ৩৪ বছরের যুবক। নিজের এই নতুন জীবনের জন্য স্ত্রীর কাছে চিরকালের জন্য ঋণী থাকবেন বলেই জানিয়েছেন লিউক।