নব্যেন্দু হাজরা: ‘অশান্ত’ মণিপুর (Manipur) থেকে ঘরে ফিরল বাংলার আরও ৩৫ জন। নবান্ন সূত্রের খবর, মণিপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া ৩৫ পড়ুয়াকে ফিরিয়েছে রাজ্য় সরকার। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে নবান্ন।
মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই তৎপর ছিল রাজ্য় সরকার। একদিকে যেমন নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছিল তেমনই উত্তর-পূর্বের রাজ্য়ে আটকে পড়া বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়ায়ও শুরু হয়েছিল। এমনকী, মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সেফ প্যাসেজ করে দেওয়ার আরজিও জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর চিন্তা ছিল, অনেক পড়ুয়াই মণিপুরের প্রান্তিক এলাকায় থাকেন। যাদের বিমানবন্দরে পৌঁছান বেশ সমস্যার। তবে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে মণিপুর থেকে বাংলায় ফিরল আরও ৩৫ জন।
[আরও পড়়ুন: ‘ছবিটা আগে দেখুন’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালকের]
তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মণিপুরের ন্যাশনাল স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ জন এনআইটি, ৩ জন ইম্ফর আইআইটি ও ৫ জন আরআইএমএসের পড়ুয়া। ঘরে ফেরা পড়ুয়াদের মধ্যে দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, পুরুলিয়া দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতার বাসিন্দাও রয়েছে। ইম্ফলে তাঁদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাত ৮টায় কলকাতায় পৌঁছায় তাঁরা। ইতিপূর্বে ১৮ জন ছাত্রছাত্রীকে রাজ্যে ফেরানো হয়েছিল।
তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মণিপুর। ইতিমধ্যে ১১ জেলায় কারফিউ শিথিল হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেতেই জনজাতির সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাত চলছে কুকি-ঝোমি ও অন্য আদিবাসীদের। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন পঞ্চাশ জনেরও বেশি মানুষ। অশান্তি ঠেকাতে জারি হয় কারফিউ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট।