সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ফের নিম্নমুখী করোনা (Coronavirus) গ্রাফ। শনিবারের তুলনায় রবিবার কমল দৈনিক ভাইরাস সংক্রমণ। দৈনিক মৃতের সংখ্যাও কমল খানিকটা। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও নিম্নমুখী। তবে ধারাবাহিকভাবে বাড়ল সুস্থতার হার।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৮৯ জন। যা শনিবারের তুলনায় যথেষ্টই কম। কলকাতায় ভাইরাস সংক্রমণকে বাগে আনা গিয়েছে। মাত্র ৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা এখনও চোখ রাঙাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় ১৩০ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। তার ফলে মোট ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১০৩ জন এখনও বাংলায় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। ভাইরাসের থাবায় দৈনিক মৃতের সংখ্যাও নিম্নমুখী। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে রবিবার ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ১১৫ জন বাংলাবাসীকে কেড়ে নিয়েছে কোভিড-১৯।
[আরও পড়ুন: আদি ও নব্যের দ্বন্দ্বে বর্ধমানে তুলকালাম, জেলা সভাপতি-সহ ১৪ জনকে শোকজ বিজেপির]
করোনা বহু মানুষের প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে। তার ফলে কষ্ট রয়েছে ঠিকই। তবে দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। ধারাবাহিকভাবে ছুটির দিনেও বেড়েছে রাজ্যের সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত ৯৭.১১ শতাংশ মানুষ কোভিডকে হারিয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন। যা দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও কমেছে বেশ খানিকটা। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২৩।
ভ্যাকসিন (Vaccine) সবেমাত্র দেশে এসেছে। আপাতত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাই টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ কবে থেকে টিকা পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে টিকাকরণের জন্য বয়স্ক মানুষদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ সোমবার থেকেই শুরু হবে জানিয়েছেন কলকাতার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তা সত্ত্বেও এখনও টেস্টের উপরেই ভরসা রাখতে হবে। একদিনে রাজ্যে ২৫ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার ফলে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৮ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে ৭.২৫ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও অসাবধান হলে চলবে না। মাস্ক, স্যানিটাইজারের যথোপযুক্ত ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।