অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: ডার্বি (Derby Match) জ্বরে কাঁপছে শহর। কিন্তু তার মধ্যে টিকিটের জন্য হাহাকার। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, দুই ক্লাবের সামনেই টিকিটের জন্য লম্বা লাইন। টিকিটের জন্য সমর্থকদের হাহাকার। এরমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল চড়া দামে ডার্বির টিকিট ব্ল্যাক করার। শনিবার রাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাশে হানা দিয়ে ৪ টিকিট ব্ল্য়াকারকে হাতেনাতে ধরল কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। তাদের কাছ থেকে ডুরান্ড ফাইনালের বিপুল সংখ্যক টিকিট উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়দানের লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছে চড়া দামে ডুরান্ড ফাইনালের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল বলে খবর যায়। এরপরই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা সেখানে হানা দেন। চারজনকে ব্ল্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল-অজয় শেঠ, মুশির আহমেদ, ওমপ্রকাশ শেঠ ও মহম্মদ রশিদ। টিকিট ব্ল্যাকার হিসেবে তাদের নাম পুলিশের খাতায় রয়েছে বলে খবর। তাদের কাছ থেকে প্রচুর টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া চুঁচুড়ায়! ৪ দিন ধরে বউদির দেহ আগলে বসে কিশোরী ননদ]
প্রসঙ্গত, ডুরান্ড কাপের (Durand Cup Final 2023) মঞ্চে প্রথম ডার্বিতে নাম লিখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এবার বদলা নেওয়ার পালা। মেগা ফাইনাল জিতে কি মোহনবাগান (Mohun Bagan) ট্রফি হাতে তুলতে পারবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এমন আবহে টিকিট নিয়ে কালোবাজারি, টিকিটের জন্য মারামারি, উন্মাদনা স্বাভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে তো দুই দলের সমর্থকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টিকিটের জন্য পাগলামি শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু টিকিট মিলছিল নাষ দ্বিগুণ দাম দিতে তৈরি থাকলেও দুই প্রধানের সমর্থকদের হাত অবধি টিকিট আসছিল না। অভিযোগ উঠছিল, ৫-৬ গুণ দামে কালোবাজারি হচ্ছে টিকিটের। অভিযোগ পেতেই কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ।