ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের মঞ্চ থেকে ফের একবার রাজ্যের কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও শক্তিক্ষয় হচ্ছে অধীরের কংগ্রেসে। শনিবার শহিদ দিবসের মঞ্চেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল প্রতীক হাতে উঠবে কংগ্রেসের ৪ বিধায়কের। মালদহের মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের আখরুজ্জামান, নওদার বিধায়ক আবু তাহের, কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করেই একুশের মঞ্চে এরা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এদিন সভাস্থলে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতে এরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকেই এরা হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেবেন।
[স্মৃতিতে ২১ জুলাই: ‘ভাগ্যিস সেদিন বিকাশদা ছিল, নাহলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত’]
এদের মধ্যে অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, গতবারই এঁদের অনেকে কিড স্ট্রিটের এমএলএ হোস্টেলে তৈরি হয়ে বসেছিলেন। কিন্তু সেবার কোনও কারণে আর শিবির বদল হয়নি। বছরের পর বছর, এই একুশের মঞ্চে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। বলা ভাল, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ভাগীরথীর দুই পাড়েই শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেসের। দীর্ঘদিনের সৈনিকরা একে একে ছেড়ে চলে গিয়েছে হাত। দলীয় কোন্দল চরম সীমায় পৌঁছেছে। তা খবর রয়েছে হাইকমান্ডের কাছে। তাই দলকে একসূত্রে বাঁধতে তরুণ সাংসদ গৌরব গগৈকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়ে বাংলায় পাঠান দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু পর্যবেক্ষক মহলের মতে, প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির একরোখা মনোভাবের জন্যই দলত্যাগীদের সংখ্যা বাড়ছে। যার ছবি দেখা যাবে এদিনের একুশের মঞ্চে।
[২১ জুলাইয়ের ইতিকথা কতটা জানে আজকের জনতা?]
The post আরও শক্তিক্ষয় কংগ্রেসের, একুশের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ৪ বিধায়ক appeared first on Sangbad Pratidin.