চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এবার পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শিবপুরে। অভিযোগ, স্থানীয় সাধু মাঝি মাঝরাতে অতর্কিত হামলা চালায় মদ দোকানের ঘুমন্ত ৪ কর্মীর উপর। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসতেই জমায়েত করেন স্থানীয়রা। দেহ উদ্ধারের সময় হামলাবাজ সাধু ফিরে এসে ফের লাঠি চালায় জনতার ভিড়ে। সেই সময় লাঠির আঘাতে স্থানীয় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এরপরই জনতা কোনক্রমে হামলাবাজ সাধু মাঝিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বুধবার রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় জামুড়িয়ার শিবপুর ভুঁইয়াপাড়া দেশি মদের দোকানে। পুলিশের সামনেই বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, নৃশংস ঘটনায় মৃত অম্বুজ মণ্ডল(৪০), প্রশান্ত সাহা(৫৮), সুবোধ বাউরি(৬১) বাড়ি বাঁকুড়ায়। মৃত বৃদ্ধ কালিয়া ভুঁইঞা এসেছিলেন মেয়ের বাড়িতে।
[আরও পড়ুন: দলীয় নেতৃত্বের উপর অভিমান, বেচারামের পদত্যাগ ঘিরে দিনভর টানাপোড়েন]
কেন এরকম নৃশংসা হামলা চালাল সাধু? দিন দুয়েক আগে ওই মদ দোকানে মদ্যপ অবস্থায় সাধু মাঝি অশান্তি পাকায়। মদ দোকানের মালিককে মারধর করে হাত ভেঙে দেয় তার। সেই ঘটনার অভিযোগে প্রেক্ষিতে পুলিশ সাধুকে গ্রেপ্তার করেছিল। গতকাল পুলিশি হেফাজত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই প্রতিহিংসা নিতে সে এই ঘটনা ঘটায়। জানা গিয়েছে, বদমেজাজি স্বভাবের জন্য পরিবারের লোকজন সাধুর সঙ্গে থাকেন না। অতীতে নিজের মায়ের পেটে শাবল চালিয়ে দিয়েছিল সাধু মাঝি। বছর দু’য়েক আগে জামুড়িয়ার এক ইটভাটায় মহিলা গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তার। প্রমাণের অভাবে কড়া শাস্তির মুখে এতদিন পড়েনি সে। বদমেজাজি ও মানসিক বিকারগ্রস্ত সাধুর আচরণে আতঙ্কিত ছিলেন শিবপুরের বাসিন্দারা। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ঘটনায় জামুড়িয়াবাসী দাবি তুলেছেন সাধু মাঝির যেন এবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।