সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। জমায়েত করা তো দূরাস্ত, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারি রুখতে একমাত্র দাওয়াই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন মানুষ। তাঁদের বোঝাতে গেলে উলটে আক্রান্ত হতে হচ্ছে পুলিশ কর্মীদেরই। এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষি রইল কর্ণাটক।
শুক্রবার কর্ণাটকের এক মসজিদে নমাজ পড়তে জমায়েত করেছিলেন বহু মানুষ। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন তাঁরা। সেই পাথরের ঘায়ে জখম হন চার পুলিশ কর্মী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, লকডাউনের মাঝে দোকান খোলা কেন, জানতে চাওয়ায় অসমে এক কনস্টেবলকে খুন হতে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে বাংলার ভাঁড়ারে স্বস্তি, ৯০০ কোটির বেশি প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র]
কেউ বাজার করার ছুতোয়, তো কেউ কেউ স্রেফ চা খাওয়ার ছুতোয়, লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বের হচ্ছেন বহু মানুষ। তাঁদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঘরে পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরাই। তার মধ্যে কখনও নমাজ পড়তে, তো কখনও রাম নবমী পালন করতে জড়ো হচ্ছেন মানুষজন। বৃহস্পতিবার নয়ডার রাস্তায় নমাজ পড়তে জমা হয়েছিলেন অনেকে। তাদের চলে যেতে বলা হলেও কথা শোনেনি। শেষ পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। এবার শুক্রবার একই ছবি দেখা গেল কর্ণাটকের হুবলির মনটুর এলাকায়ও।
[আরও পড়ুন: রক্তচাপ বাড়াচ্ছে নিজামুদ্দিনের সমাবেশ, গত ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬৪৭ যোগদানকারী]
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। পুলিশের গাড়ি এলাকায় ঢুকতেই শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার ইট ছুঁড়তে থাকে উন্মত্ত জনতা। কোনও মতে নিজেদের রক্ষা করেন পুলিশ কর্মী। গোটা ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ঘটনার প্রসঙ্গে কর্ণাটকের হুবলি-ধারওয়ার পুলিশ কমিশনার আর দিলীপ জানান, চার পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
The post লকডাউন ভেঙে নমাজ পড়ার ধুম, বোঝাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.