shono
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশে জামিনে মুক্ত ৪৪ শতাংশ সন্দেহভাজন জঙ্গি, বাড়ছে হামলার আশঙ্কা

বাংলাদেশে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে জেহাদিরা।
Posted: 10:47 AM Jan 05, 2021Updated: 12:38 PM Jan 05, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমে শিকড় মজবুত করছে জেহাদিরা। মুক্তমনাদের হত্যা থেকে শুরু করে মূর্তি ভাঙার মতো ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উসকে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে দেশে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের প্রায় ৪৪ শতাংশই জামিনে মুক্ত। তাদের চলাচলে সেই অর্থে কোনও বাধানিষেধ নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে মায়ানমারকে চিঠি, ফের চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ]

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওয়েবিনারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস। পুরনো জঙ্গিদের পুনর্বাসন এবং সন্ত্রাস দমনে তাঁদের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধে নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর দেওয়া তথ্য মতে জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) ও নব্য জেএমবির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯১১ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) গ্রেপ্তার ৪৯৯ জনের মধ্যেও শর্তসাপেক্ষে জেলের বাইরে আছে ১৪৬ জন। হরকতুল জিহাদের (হুজি) গ্রেপ্তার ৩৭৯ জনের মধ্যে জামিন পেয়েছে ১৩১ জন। আর হিযবুত তাহরীরের (এইচটি) গ্রেপ্তার ৯২১ জনের মধ্যে গারদের বাইরে আছে ৫৪৫ জন। এই চার সংগঠনের ৭১ জন জঙ্গি জামিন পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ফলে তারা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অধ্যাপক বিশ্বাস জানান, ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১০৯ জন জঙ্গি কারাগারে শাস্তি ভোগ করছে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই যুবক বা মধ্যবয়সী। তাদের কারাবাসের মেয়াদ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ৩০ শতাংশই খুব শিগগির সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে মুক্তি পাবে। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা যাতে আবারও জেহাদি কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পদক্ষেপ করা জরুরি।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে উত্থান হয় মৌলবাদের৷ নয়ের দশকে ও এই শতাব্দীর শুরুতে জন্ম নেয় হরকত-উল-জেহাদি-ইসলামি, ইসলামিক সমাজ, হিজবুত তাওহিদ-এর মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন৷ তারপর থেকেই দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা৷ আওয়ামি লিগের আমলেও গুলশন হামলার মতো একাধিক নাশকতার ঘটনা দেশে ঘটিয়েছে জেহাদিরা৷ তবে শক্ত হাতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত কয়েকজন কর্মী, সংক্রমণ এড়াতে মালয়েশিয়ায় বন্ধ বাংলাদেশ হাইকমিশন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement