নব্যেন্দু হাজরা: বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ। নবান্ন অভিযান ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে শহর। পুলিশ আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের একাংশ। রাস্তায় অশান্তির শঙ্কায় মেট্রোকেই সুরক্ষিত মাধ্যম হিসাবে বেছে নিল জনসাধারণ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ৪৭ হাজার যাত্রী এসপ্ল্যানেড ও হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো ব্যবহার করেছে। তাঁদের বেশিরভাগ হাওড়া ময়দান ও হাওড়া স্টেশন ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। এছাড়াও এদিনই ইউজিসি নেট পরীক্ষা ছিল। মেট্রো স্টেশনগুলিতে চাপ থাকবে তা আন্দাজ করেছিলেন কর্তৃপক্ষ।
সেই মতো, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। ভিড় সামলাতে ৬টি অতিরিক্ত কাউন্টারও খোলা হয় মেট্রোর তরফে। যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে আরপিএফ, অতিরিক্ত অপারেটর অফিসারকে দায়িত্ব দেয় মেট্রো। প্রায় ৩ লক্ষ যাত্রী দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ লাইন ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ‘কেন জানি না এখনও সন্দীপকে গ্রেপ্তার করছে না!’, হতাশ আর জি করের নির্যাতিতার মা]
মেট্রোরেল তরফে জানানো হয়, 'আজকের বড়ো র্যালির কথা মাথায় রেখে মেট্রো পরিষেবা সুষ্ঠু ভাবে চালাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রত্যেক আধিকারিক, আর পি এফ কর্মী, স্টাফরা নিজেদের দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেছে।'