সুকুমার সরকার, ঢাকা: সকাল থেকেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনকে স্মরণ করেছেন তাঁরা। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ওই দিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ভারত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত বাহিনীর কাছে। সেই স্মৃতি মনে রেখে ৪৯তম বিজয় দিবস পালন করছে বাংলাদেশ।
১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার। তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটাকে পালন করার পাশাপাশি শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণায় মাতেন দেশের বাসিন্দারা। আজ সেই ধরনের অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সরকারের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানগুলির উদ্যোক্তার ভূমিকায় দেখা যায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও। আগামী বছর স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। সেই সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শুরুর আগে ৪৯তম বিজয় দিবসে তাঁকে স্মরণ করবেন সবাই।
[আরও পড়ুন: NRC নিয়ে অবস্থান বদল, অনুপ্রবেশকারী নাগরিকদের তালিকা চাইল বাংলাদেশ]
এই বছর বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতায় অবস্থিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপদূতাবাসের উদ্যোগে আগামী ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, বিকেল চারটের সময়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি। থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্র, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনাসভাও।
আজ বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশে আজ মুক্তিযুদ্ধের পতাকাবাহী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন ২০২১’,‘ভিশন ২০৪১’এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’নিয়েছেন।’
[আরও পড়ুন: পাখা তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ১০ জনের]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল বাঙালি জাতি। দীর্ঘ ২৩ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নমাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। সবাইকে বলব, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকার বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আওয়ামি লিগ সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
The post বাংলাদেশে মহাসাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে ৪৯তম বিজয় দিবস appeared first on Sangbad Pratidin.