বিধান নস্কর, দমদম: কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গোপা রায়ের দাদা মিউটেশনের কাজ করার নামে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরতের চাপ দিতেই আত্মহত্য়ার পথ বেছে নেন গোপা ও তাঁর মেয়ে। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন বিধাননগর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার কেষ্টপুর ফ্ল্যাট থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছিল। সেই সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃত গোপা রায়ের দাদা গৌতম দে বিধাননগর পুরনিগমে অস্থায়ী কর্মী হওয়ার সুযোগ নিয়ে বাড়ির মিউটেশন, ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়েছিলেন। টাকা নেওয়ার পরও বহুদিন ধরে সেই কাজ করিয়ে দিতে না পারায়, তাঁর ফ্ল্যাটে পাওনাদাররা হানা দিত।
[আরও পড়ুন: ‘হিংসা থামান, নয়তো ফল ভুগতে হবে’, অগ্নিগর্ভ মণিপুরে জঙ্গিদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
গত ১৮ তারিখে বিধাননগরের অস্থায়ী কর্মীরা গোপা রায়ের বাড়িতে যায় এবং গৌতম দেকে দেওয়া ৩৫ লক্ষ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে চাপ দিতে থাকে। অবিলম্বে টাকা ফেরত দিতে হবে এই মর্মে সময়সীমা দেওয়া অ্যাডভোকেট ড্রাফটিং পত্রে সই করানো হয় গৌতম দে এবং তাঁর দিদি গোপা রায়কে। তাতেই ভেঙে পড়ে পরিবার। গৌতম দের বাড়ি থেকে বেরনোর পরই একটি সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন গোপা রায় ও তাঁর মেয়ে সুদেষ্ণা রায়।
উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে সোমবার বিধাননগর পুরনিগমের তিন অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তার করা হয়। নাম জহিরুল গোলদার, আবদুল্লাহ আল জামান, সুব্রত ধর। পরবর্তীতে নাম উঠে আসে অটোচালক তপন বোধক ও তাঁর স্ত্রী রুপা বোধকের। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ।