সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডবে রক্তাক্ত আমেরিকা (America)। স্থানীয় সময় মতে বুধবার ওকলাহোমার টুলসায় একটি হাসপাতালে হানা দেয় এক বন্দুকবাজ। হামলাকারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দুকবাজেরও।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আচমকাই টুলসা শহরের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল এক ব্যক্তি হামলা চালায়। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে সেখানে উপস্থিত মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় সে। ওই ঘটনায় চারজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজেরও। তবে পুলিশের পালটা গুলিতে সে প্রাণ হারিয়েছে না কি আত্মঘাতী হয়েছে ওই হামলাকারী তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে এই হামলা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। টুলসার পুলিশ আধিকারিক জনাথন ব্রুকস জানিয়েছেন, আর কোনও হামলাকারী সেখানে লুকিয়ে আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ক্যাপ্টেন রিচার্ড মুলেনবার্গ জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ১৯ শিশু-সহ ২১]
মূলত, ঘটনাটি ঘটে নাতালি বিল্ডিংয়ের দোতলায়। সেখানে ডাক্তারদের অফিস রয়েছে। আর রয়েছে একটি অর্থোপেডিক চিকিৎসা কেন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত এবং আহতদের মধ্যে হাসপাতালের রোগী থেকে শুরু করে কর্মীরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, টুলসা হাসপাতালে হামলার ঘটনা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বইডেনকে (Joe Biden) জানানো হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাত্র দিন আটেক আগেই আমেরিকার টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন পড়ুয়ার। প্রায় ৬০০ জন পড়ুয়ার রব এলিমেন্টারি স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। তারপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোট চর্চা শুরু হয় দেশজুড়ে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও তার সমর্থনে ওয়াল করেন। ফলে আরও জোরাল হয়ে ওঠে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এত সহজ নয়। অত্যাধিক প্রভাবশালী ‘গান লবি’র উপর লাগাম টানার সাহস কি আদৌ বইডেন প্রশাসন দেখতে পারবে, তা সময়ই বলবে।