সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোচনা করতে গিয়ে আশ্বাস তো দূর, মিলেছিল 'ঘাড়ধাক্কা'। কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে 'বিতাড়িত' হয়েও ক্ষমা চেয়ে নিলেন সেই ভলোদিমির জেলেনস্কিই! মার্কিন কূটনীতিক স্টিভ উইটকফ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে জানান, ওভাল অফিসে যা হয়েছে সমস্ত কিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই পদক্ষেপ বেশ সুনজরেই দেখছে হোয়াইট হাউস, এমনটা জানিয়েছেন স্টিভ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি, ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি এই সব বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। কিন্তু আলোচনার মধ্যেই বাদানুবাদে জড়ান দুই রাষ্ট্রনেতা। তুমুল বচসার পর জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউস ছাড়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তারপরেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর মেলে, ইউক্রেনের জন্য সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করল আমেরিকা। যতদিন পর্যন্ত না শান্তি স্থাপনের জন্য ইউক্রেনের নেতারা রাজি হবেন, ততদিন পর্যন্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে।
শিয়রে বিপদ দেখে তড়িঘড়ি ট্রাম্পকে চিঠি লেখেন জেলেনস্কি। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে সেই বার্তা পড়ে শোনান ট্রাম্প। সেখানে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'শান্তির লক্ষ্যে কাজ করতে আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত আমরা। আমেরিকার নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত।' মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠি লেখার পাশাপাশি সোশাল মিডিয়াতেও এই বিষয়ে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে জেলেনস্কিকে। যদিও জেলেনস্কি ক্ষমা চেয়েছেন, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি দুই দেশের প্রেসিডেন্টের কেউই।
কিন্তু সোমবার মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ একটি অনুষ্ঠানে জানান, "মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। ওভাল অফিসে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আমার মনে হয় এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।" তবে প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে আনা হল না কেন? তাহলে কি ক্ষমা চেয়ে আলাদা কোনও চিঠি লিখেছেন জেলেনস্কি? তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ক্ষমা চাওয়ার পরেই সেদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে আমেরিকা। মঙ্গলবার সৌদি আরবে দুপক্ষের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর।
