গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত থেকে ফের উদ্ধা লক্ষাধিক টাকার বিরল প্রজাতির পাখি। পুলিশের জালে দুই পাচারকারী। রবিবার সকালে বসিরহাট সীমান্তে যৌথ অভিযানে চালায় রাজ্য বনদপ্তর এবং বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। তাতেই মিলল বিরাট সাফল্য।
বনদপ্তরের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, বাংলাদেশ থেকে রামচন্দ্রপুর আসছে বিশেষ প্রজাতির টিয়া পাখি। তারপরই বন দপ্তর ও বাদুড়িয়া থানার পুলিশ বাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। হাতেনাতে ধরল দুই পাচারকারীকে। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি বিরল প্রজাতির টিয়াপাখি উদ্ধার করা হয়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখিগুলি লরেস প্রজাতির। যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
[আরও পড়ুন: উপহারের লোভ দেখিয়ে ১১ বছরের কিশোরীর উপর পাশবিক যৌন অত্যাচার, বসিরহাটে গ্রেপ্তার দুই]
ধৃত দুজনের নাম দিনেশ সাউ এবং রাজেশ মোদক। দুজনেই ভারতীয়। দিনেশ হাওড়া এবং রাজেশ বারাসতের বাসিন্দা। ধৃতরা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বিশেষ প্রজাতির পাখি পাচার করছিল তারা।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে লাগাতার পাখি পাচারের চেষ্টা চলছে। তবে বনদপ্তর এবং পুলিশের চেষ্টায় সেই প্রচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ জানুয়ারি ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের তারালী এলাকায় কর্তব্যরত জওয়ানরা সাতটি খাঁচা ভরতি ১৪০ টি টিয়াপাখি আটক করে। ধরা পড়ে পাচারকারীও। জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টিয়াগুলি অধিকাংশই ‘পাঞ্জাব টিয়া’। আন্তর্জাতিক বাজারে এক-একটির দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়াও কিছু দেশি চন্দনাও ছিল। পাঞ্জাব-বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পাখিগুলি বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল বলেই অনুমান।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ডাকে সাড়া, রাতের অন্ধকারে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরীর!]
তবে ল্কদপ্তরের হেফাজতে থাকাকালীন ১৪০টির মধ্যে ৯৭টি পাখির মৃত্যু হয়েছে। বাকি পাখিগুলিকে চিকিৎসার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই ‘মুক্তির’ ভিডিওগ্রাফি করতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।