সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়পর্দায় চোখ রাখলে বিদেশ বিভুঁইয়ের কত জায়গাই না দেখতে পাওয়া যায়। সিনেমার কল্যাণে ভারচুয়ালি গোটা বিশ্বই ঘুরে ফেলা যায় অনায়াসে। তবে সত্যি করে সেসব জায়গায় পাড়ি জমাতে ইচ্ছে যে করে না, তা তো নয়। কিন্তু পকেট সবসময় অনুমতি দেয় কই! ঠিকঠাক হিসেব করে ফেলতে পারলেই কিন্তু বলিউড ছবির শুটিং সেট দেখে আসতেই পারেন। কীভাবে? হিন্দি ছবিতে দেশের এমন অনেক অচেনা অথচ সুন্দর জায়গা তুলে ধরা হয়, যা আপনাকে হাতছানি দেবেই। সুপারহিট সব ছবিতে এমন অনেক গ্রাম দেখানো হয়েছে যা আপনার গন্তব্য হতেই পারে। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কয়েকটি গ্রামের সন্ধান।
চাম্বা: ঐশ্বর্য রাইয়ের ব্লকবাস্টার ছবি তাল নিশ্চয়ই দেখেছেন। ছবির টাইটেল ট্র্যাকে মন ভাল করা প্রাকৃতিক দৃশ্যও চোখে পড়েছিল। সেটি আসলে হিমাচল উপত্যকার চাম্বা এলাকা। বৃষ্টির মধ্যে ঐশ্বর্যের ‘তাল সে তাল মিলা’ নাচ, অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আজও চোখের সামনে ভাসে। অভিনেত্রীকে না দেখা গেলেও স্নিগ্ধ প্রকৃতির টানে পৌঁছে যেতেই পারেন চাম্বা।
[পুজোর আগেই খুলছে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড পর্যটনকেন্দ্র ‘ভোরের আলো’]
চরণপুর: স্বদেশ। শাহরুখ খানের এ ছবি হিন্দি সিনেমা জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সেখানে নাসার বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করা শাহরুখ ছিলেন আসলে একটি ছোট্ট গ্রামের ছা-পোশা পরিবারের ছেলে। মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বরের চরণপুরে হয়েছিল সেই ছবির শুটিং। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে চরণপুরের কদর আরও বেড়েছে। এখানে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুন্দরভাবে সাজানো বিভিন্ন মন্দির, মেনাবলি ঘাট ইত্যাদি। তাই মহাবালেশ্বর পাড়ি দিলে এ জায়গায় ঢুঁ মারতেই পারেন।
আভানেরি: কিং খানের আরও একটি সুপারহিট ছবির শুটিংয়ের স্থান হল দৌসা জেলার আভানেরি। স্থানীয় লোককাহিনি অবলম্বনে তৈরি পহেলি ছবিটি মনে পড়েছে? যেখানে শাহরুখের পাশাপাশি ছিলেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন এবং রানি মুখোপাধ্যায়ও। জয়পুর থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে মাটির গন্ধের টানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। রাজস্থানি ভাষা, খাবার-দাবার, পোশাক আশাকে আপনিও কটা দিয় রাজপুত ঘরানার স্বাদ গ্রহণ করতেই পারেন আভানেরিতে।
বুদবুদা: বিল্লু বারবার ছবিটির বেশিরভাগ দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল তামিলনাড়ুর পোলাচি গ্রামে। সেই গ্রামেরই বুদবুদা এলাকাটি নজর কেড়েছিল সিনেপ্রেমীদের। শুধু ইরফান খানের বিল্লু-ই নয়, একাধিক দক্ষিণী ছবিতেই এই গ্রাম দেখা গিয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এই গ্রামের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
বাদামি: নিজের ছবি গুরুর শুটিংয়ের জন্য কর্ণাটকের এই গ্রামকেই বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক মণি রতনম। ছবি তো সুপারহিট হয়েইছিল, সেই সঙ্গে এই গ্রামটিও জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যায়। এই গ্রামের প্রাচীন মন্দিরগুলিই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু।
The post হিন্দি ছবিতে দেখা এসব গ্রামে পাড়ি জমানোর কথা ভেবেছেন? appeared first on Sangbad Pratidin.