সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির নিরামিষ রান্নায় কালোজিরার অবদান অনস্বীকার্য। এক কালোজিরা-কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়েই অনেক ভাজা-ভুজি, তরকারি করে ফেলা যায়। এই কালোজিরা আবার চপের বেসনের সঙ্গেও অনায়াসে মিশে যেতে পারে। একটু হালকা করে ভাজা পিঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কার সঙ্গে বেটে নিলে তৈরি হয়ে যায় কালোজিরা বাটা। এই বাটা অনেক বাঙালি বাড়িতেই সন্তানের জন্মের পর মহিলাদের তা গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়ানো হয়। এতে নাকি প্রসব পরবর্তী ব্যথা কমে। জ্বরের কারণে মুখের স্বাদ চলে গেলেও কালোজিরা বাটা খাওয়ার রেওয়াজ। যার এত ব্যবহার তার কত গুণ? জেনে রাখুন।
ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ কালোজিরা। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অনেকে দাবি করেন, ক্যানসারের ক্ষেত্রেও এই ছোট্ট দানাগুলি খুবই উপকারী।
কালোজিরার দানা থেকে তৈরি তেল কোলেস্টোরেল কমাতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষার জন্য নাকি ৫৭ জনের শরীরে এর পরীক্ষা করা হয়েছিল। এক বছরে সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা কম পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি।
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রেও উপকারী কালোজিরা। দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ছোট্ট ছোট্ট এই দানা। প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।
শোনা যায়, স্মরণ শক্তির ক্ষেত্রেও কালোজিরা খুবই উপকারী। অতিমারীর এই সময়ে দুশ্চিন্তা, আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকে তা কমাতে সাহায্য করে ছোট্ট এই দানাগুলি।
দেহের ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়ার শত্রু কালোজিরা। উপকারী কোষ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
ব্যথা, বেদনার উপশমের জন্য কালোজিরার ব্যবহার তো করাই হয়। অন্ত্রের জীবাণুকে নাশ করে এই বীজ।
ছবি: সংগৃহীত
তবে হ্যাঁ, কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা প্রয়োজন। এটি নিয়মিত এবং পরিমিত হারে খেতে হয়। অতিরিক্ত সেবনে হিতে বিপরীত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কালোজিরা তেল খেতে বারণ করা হয়। আবার অনেকেই কালোজিরা হজম করতে পারেন না। পুরনো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই ভেবে চিন্তেই কালোজিরা বা তা থেকে তৈরি তেলের ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যাবতীয় তথ্য সংগৃহীত। তাই নিয়ম মানার আগে বিশেষজ্ঞর সঙ্গে অবশ্যই কথা বলে নেবেন।